এস্কিমো জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনের ধরুন আপনার কাছে রহস্যময় মনে হতে পারে। তাদের সবসময় প্রতিকূল পরিবেশ এবং বৈরী আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে তারা লড়াই করেই টিকে আছে।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, তারা যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য কুকুরের গাড়ি ব্যবহার করে। পিচ্ছিল বরফের উপর দিয়ে বেশি দ্রুত গতিতে এসব গাড়ি ছুটে যেতে পারে। অনেক সময় তারা নৌকা ব্যবহার করে থাকে।
আর্কটিক অঞ্চলে সূর্যের দেখা পাওয়া বেশ কঠিন। পুরোপুরি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মতো ঘটনা ঘটে সেখানে। প্রচন্ড শীতে টিকে থাকার জন্য তারা পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি উষ্ণ পোশাক ব্যবহার করে থাকে। মোটা চামড়া দিয়ে তৈরি এ পোশাক তাদের সুরক্ষা প্রদান করে।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এসব পোশাক টেকসই হয় এবং বছরের পর বছর ধরে টিকে থাকে। খাবার হিসেবে তাদের পশুর মাংস বেশ পছন্দ। সিল মাছ, তিমি মাছ, হরিণ, খরগোশ, ভাল্লুক, হাঁস এসব তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
শিকার করার জন্য তারা বর্শাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এসব কাঁচা খাবার তাদের অনায়াসে দিনের পর দিন টিকে থাকতে সাহায্য করে। সেখানে গ্রীষ্মকালের স্থায়িত্ব হয় খুবই অল্প সময় ধরে। কিছু কিছু স্থানে মাঝে মাঝেই ঘটে তুষারপাতের ঘটনা। অবশ্য সম্প্রতি পরিবেশবিদরা শীত-গ্রীষ্ম ছাড়াও শরৎ ও বসন্ত ঋতুরও সন্ধান পেয়েছেন সেখানে।
সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে বিচিত্র সব প্রাণীর বসবাস। রয়েছে সুস্বাদু সব মাছ ও নাম না জানা রূপসী সব উদ্ভিদের সমাহার। গ্রীষ্মকালে হিমশীতল জলের অল্প স্রোতে তারা ভেসে বেড়ায় বিভিন্ন স্থানে।এলোপাথাড়ি ঘুরে বেড়ায় আর্কটিক জুড়ে। বরফগুলোর ধূসর সাদা গাত্রবর্ণ চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বরফের নিচে থাকা সমুদ্রের জলও বেশ বিশুদ্ধ।
এস্কিমোরা খোলা আকাশের নিচে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিযাপন করে। এসব তাঁবুর ছাদ তৈরিতে তারা ব্যবহার করে চামড়া আর দেয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয় পশুর হাড় ও তিমি মাছের বিশালাকার কাঁটা। রাতের বেলা এসব ঘরে সিল মাছের চর্বি দিয়ে জ্বালানো হয় উষ্ণ তেলের প্রদীপ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।