জুমবাংলা ডেস্ক: মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৭ এর আওতায় একটি ফ্রিজ কিনে ১০১টি পণ্য ফ্রি পেয়েছেন আরও একজন সৌভাগ্যবান ক্রেতা। তিনি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সরালিয়া এলাকার মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে ১০ হাজার টাকা কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ১০১টি বাড়িভর্তি পণ্য ফ্রি পেয়েছিলেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার জসিম উদ্দিন।
অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে দেওয়া হচ্ছে নানান সুবিধা। এরই প্রেক্ষিতে সিজন-১৭ তে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রয়ে রয়েছে ১০১টি বাড়িভর্তি পণ্য ফ্রি এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত উপহার।
সোমবার (১৩ মার্চ) মোরেলগঞ্জ ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে নজরুল ইসলামের হাতে ১০১টি পণ্য তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম, মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
ক্রেতা নজরুল ইসলাম পৌর এলাকার ‘বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স’র পরিচালক। এছাড়া তিনি শরণখোলা ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্বশুর বাড়িতে উপহার দিতে গত ৬ মার্চ তিনি ওয়ালটন প্লাজা থেকে ২২৬ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। সে সময় নিয়ম অনুযায়ী তার ফোন নম্বরসহ পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০১টি পণ্য ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায় নজরুল ইসলামের মোবাইলে। প্লাজার ম্যানেজারও ফোন করে বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করেন।
অপ্রত্যাশিতভাবে এতোগুলো পণ্য ফ্রি পাওয়ায় নজরুল ইসলামের পরিবারে এখন খুশির বন্যা। ট্রাকভর্তি করে পণ্যগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছেন তিনি। ফ্রি পাওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, স্মার্ট টিভি, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কুলার, মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন, সিলিং, প্যাডেস্টাল, টর্নেডো ও রিচার্জেবল ফ্যান, রাইস কুকার। এসব পণ্যের কিছু আত্মীয়-স্বজনদের উপহার দেবেন। কিছু নিজেরা ব্যবহার করবেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, বাসা এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য আগেও ওয়ালটন পণ্য কিনেছি। দামে সাশ্রয়ী, সার্ভিস ভালো আর নানান সুবিধা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করছি। একটি ফ্রিজ কিনে এতোগুলো পণ্য ফ্রি পাওয়ার বিষয়টা ভাবতেও অবাক লাগছে। ওয়ালটনের এই কনসেপ্ট আমার ভালো লেগেছে। ক্রেতাদের এমন সুবিধা দেওয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। কোম্পানির কর্মকর্তারা তাদের কথামত আমার হাতে ১০১টি পণ্যই তুলে দিয়েছেন। আজ থেকে ওয়ালটনের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা আরও বেড়ে গেলো। ওয়ালটনের সমৃদ্ধি কামনা করছি।
ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ওয়ালটন সবসময় ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে আসছে। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-১৭ তারই একটি অংশ। এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ-ই-আলম বাচ্চু বলেন, ওয়ালটন সাধারণ ক্রেতার হৃদয়ে একটি আস্থার জায়গা। মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ভালো মানের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের মাধ্যমে ওয়ালটন দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে।
ওয়ালটন হাই-টেকের ডিএমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, ক্রেতা-চাহিদা ও বিক্রিতে স্থানীয় বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজ শীর্ষে অবস্থান করছে। ক্রেতার হাতে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে বদ্ধ পরিকর আমরা। ওয়ালটন যে ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।