আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠাসা কর্মসূচির মধ্যেই লম্বা সময় কাটিয়েছেন বেলুড় মঠেও। রাতে সেখানেই ছিলেন মোদি। সকালে বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে প্রশ্ন করেন তিনি। তারপর থেকেই বিদ্রুপে ভরেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
এবার সেই স্রোতেই গা ভাসালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্রুপ করে সমালোচনা করেন সাংসদ। খবর: সংবাদ প্রতিদিন।
লুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে ছাত্র সমাজের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে মোদি টেনেছেন CAA ইস্যু। কেন বেলুড়ের মঞ্চে এমন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক নেতার সংস্রব নতুন কিছু নয়।
স্বামী বিবেকানন্দের হাতে তৈরি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল, যে কোনওরকম রাজনীতিকে ধারেকাছে ঘেঁষতে না দেওয়া। দেশের অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাথা উঁচু করে থাকা। দীর্ঘদিন ধরে সেই ভাবমূর্তিই বজায় ছিল মিশনের।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এসে বেলুড় মঠের গেস্ট হাউসে রাত কাটিয়েছেন, এমনটা মিশনের জন্মলগ্ন থেকে কখনও হয়নি। তাই প্রথমে যখন মোদির বেলুড়ে থাকার খবর প্রকাশ হয়, তখন অনেকেরই তা বিশ্বাস হয়নি। পরবর্তী সময়ে রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীদের অনেকেই ইমেল করে, চিঠি লিখে, ফোনে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যাতে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।সেসব অনুরোধ রাখা হয়নি।
মিশনে থাকা নিয়ে মোদি নিজে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, এখানে এসেছি ঘরের ছেলে হিসেবে।’ কিন্তু তারপরেও রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই ব্যঙ্গত্মক মেম, ট্রোলে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
এ প্রসঙ্গে রসিকতার ছলে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র লেখেন, “ছিঃ,ছিঃ! CAA-এর পক্ষে সওয়াল করতে বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মিশনের মঞ্চকে ব্যবহার করেছেন মোদি। আমি নিশ্চিত রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব থাকলে হয়তো তিনি বলতেন, ওরে নরেন এলি। আয়, বাবা আয়। তোর চৈতন্য হোক।” তার এই পোস্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পালটা পোস্টও হয়।
Chhi Chhi! Modi uses stage at Ramakrishna Mission during oVivekananda birth anniversary celebrations to push the CAA. We know what Ramakrishna Paramhansa would have said …. pic.twitter.com/rZtL1TWUjS
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) January 12, 2020
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।