ওষুধ না খেলে রাতে ঘুম হয় না?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শুলেই ঘুম এই বাক্যটি আপনার জন্য নয়। এটা ভাবতে ভাবতেই রাত যে কখন ভোর হওয়ার যায়। আর আপনার ঘুম হয় না। এক-আধদিন রাত জাগা এক ব্যাপার, আর দিনের পর দিন এই সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকাটা আর এক যন্ত্রণা। বিশেষ করে যাঁরা জানেন যে পরদিন সকালে উঠেই কাজে বেরতে হবে এবং পারফরম্যান্সে কোনওরকম ঘাটতি হলে কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনার ইনসোমনিয়ার কথা শুনবেন না। এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর উপায়টা তা হলে আপনাকেই খুঁজতে হবে? এবং এটাও খুব সত্যি যে ইচ্ছে আর উপায় থাকলে ঘুমের ওষুধের গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। তাই বেশি রাত করে শোওয়ার অভ্যেসটা আগে বদলান। যাঁরা নাইট শিফটে কাজ করেন, তাঁদের সত্যি কিছু করার নেই। বাকিরা কিন্তু প্রতি রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে শুতে যাওয়ার অভ্যেস তৈরি করার চেষ্টা করুন।

অনেকেই বিছানায় আধশোয়া হয়ে রাতের পর রাত সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখে রাত কাবার করে দেন। অনেকের সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা বা পরিচিতদের সঙ্গে চ্যাট করার অভ্যেস। এর প্রত্যেকটিই কিন্তু আপনার ঘুমের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে সমস্ত ডিভাইস থেকে আলো বের হয়, তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকে।

ডিনার সারুন ঘুমের জন্য নির্ধারিত সময়ের অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে। তার পর খানিকটা পায়চারি করলে খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি। অনেক সময় অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণেও ঘুমের অসুবিধে হয়। সামান্য ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে হালকা উষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন, খেতে পারেন ক্যামোমাইল চা। খুব নীচু ভলিউমে শুনতে পারেন পছন্দের গান। নির্দিষ্ট সময়ে আলো নিভিয়ে ঘুমের চেষ্টা করতেই হবে। প্রথমদিকে অসুবিধে হলেও হাল ছাড়বেন না, মাসখানেকের মধ্যেই আপনার শরীর এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই পর্যায়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুমের ওষুধের ডোজ কমানোর চেষ্টাও শুরু করুন।

ঘুমের ওষুধ রাতারাতি বন্ধ করলে নানা ধরনের সমস্যা হয়। হয়তো রাতের পর রাত ঘুম আসবে না, শরীরে অস্থির ভাব দেখা দেবে, মাথা ঘুরবে, ক্লান্তির চাপে কাহিল লাগবে। এই পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না, এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহ থাকুন। তবে সব সময়েই প্রশিক্ষিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। ক্ষেত্র বিশেষে সাইকায়াট্রিস্টের পরামর্শও কাজে দেয়।