জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশাল জেলা ডিবির ওসি মিজানুর রহমানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় শিশু গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়।নির্যাতনকারী কারো নাম জানাতে পারেনি পুলিশকে। নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মীর নাম মনি (১১)। সে বাবুগঞ্জ উপজেলার পিতা মন্টু হাওলাদারের মেয়ে। শিশু গৃহকর্মী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রুপাতলী এলাকায় ডিবির পরিদর্শক মিজানুর রহমানের বাসায় কাজ করতেন। এসময় তাকে অনেকবারই বকাঝকা করা হতো।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর তাকে নগরীর চৌমাথা এলাকায় বসে মিজানুর রহমানের স্ত্রী রাস্তায় প্রকাশ্যে মারধর করে। এসময় তার ছেলেও চর থাপ্পর দেয়। শিশুটির অভিযোগ, কাজে ভুল হলেই তাকে বকঝকা এবং মারধর করতো গৃহকর্তী ও তার সন্তানরা। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকালে সে ওই বাসা থেকে পালিয়ে রাস্তায় বের হয়। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ও সন্তানরা বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগরী চৌমাথা এলাকায় গিয়ে তাকে ধরে টেনে-হিঁচড়ে বাসায় নিতে চায়। বাসায় যেতে না চাইলে তাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়।
প্রকাশ্য রাস্তায় একটি শিশুর সাথে এক নারী ও যুবকের জবরদস্তি ও নির্যাতনের বিষয়টি পথচারীদের দৃষ্টিতে পড়ে। তারা সেখানে জড়ো হয়ে শিশুর সাথে জবরদস্তি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাদের সামনে ওই শিশুটিকে আবারও প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী ও হকাররা। নির্যাতনকারী এক যুবক তার বাবা ডিবির ওসি বলে হুমকি দেয় প্রত্যক্ষদর্শীদের। খবর পেয়ে চৌমাথা এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যায়।
এ সময় সটকে পড়েন পুলিশ পরিদর্শকের স্ত্রী ও সন্তানরা। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, এ ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি শিশুটির কল্যানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নির্যাতনকারীরা জেলা পুলিশের ডিবির পরিদর্শকের পরিবারের সদস্য হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। অপরাধ প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তবে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ডিবির পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটি মাত্র ৩ দিন আগে তার বাসায় কাজে যোগ দেয়। সামান্য কিছু কাজ করার পর সারাক্ষণ তার ছেলে-মেয়েদের সাথে খেলা করতো সে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, শিশুটি উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। ভিকটিমের জবানবন্দি ও বাবা-মায়ের অভিযোগ শুনেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।