জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজী থানার সেই সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
গত ২০ নভেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে সাইবার ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন। আইনবহির্ভূতভাবে নুসরাত জাহান রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই ভিডিও প্রচারের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। সুপ্রিমকোর্টের আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে গত ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিমা সুলতানা এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিনই ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১৬ জুন হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন ১৭ জুন তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৭ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
এরপর ২১ জুলাই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ১২ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শেষ হয়। গত ১৪ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে ওসি মোয়াজ্জেম ট্রাইব্যুনালের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
পিবিআইয়ের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ধারণ, প্রচার ও তা ভাইরাল করেছেন। ওসি মোয়োজ্জেম হোসেন সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর সদস্য হয়েও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভিকটিম নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানির ঘটনার বক্তব্য ভিডিও ধারণ ও প্রচার করে অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। যার ফলে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জানান রাফি। সেখানে কয়েকজন তাকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা তুলে নিতে বলেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে মামলা করেন। অগ্নিদগ্ধ নুসরাত গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
গত ২৪ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।