স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দৃষ্টিকটু একটি ওয়াইড ও একটি নো বল নিয়ে ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ক্রিশমার স্যান্টোকিকের বিরুদ্ধে সন্দেহ জেগেছে। এমনকি এরই মধ্যে অপর ম্যাচে এমনভাবে তিনি রান আউট হন- যা আবারো ফিক্সিংয়ের সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এসব নিয়ে শুধুমাত্র তার দল সিলেট থান্ডারেই নয় পুরো বিপিএল অঙ্গনে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে করে ১৬২ রান তোলে সিলেট থান্ডার। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে চট্টগ্রাম চ্যাসেঞ্জার্স।
এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম ব্যাট করার সময়ে দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন ক্রিসমার সান্তোকি। সে মুহূর্তে ব্যাট করছিলেন আবিষ্কা ফার্নান্দো। সেই ওভারে বল করার সময় তৃতীয় বলটি ফুলটস করেন সান্তোকি। ব্যাটসম্যানের লেগ সাইডের অনেক বাইরে পড়ে বল বেরিয়ে যায়। আম্পায়ার ওয়াইড দেন ডাকেন। ধারাভাষ্যকারদের কথায়, ‘‘টেস্টেও এটা ওয়াইড ডাকতে হবে।’’
এর দুই বল পরেই সবাইকে অবাক করা একটি নো বল করেন সান্তোকি। যেখানে তাঁর সামনের পা পপিং ক্রিজ থেকে প্রায় এক মিটার বাইরে ছিল। টিভিতে এই বলের পরেই ধারাভাষ্যকার তাঁর সহকারীকে বলেন, ‘‘বলটা আরও একবার দেখুন। অবিশ্বাস্য।’’ অপর ধারাভাষ্যকারও বলেন, ‘‘বিশ্বাসই হচ্ছে না। কী ভাবে একজন দাগের বাইরে এতটা এগিয়ে যেতে পারেন!’’
পরে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন দর্শকেরা। কেউ টুইট করেন, ‘‘এটা কি সত্যি?’’ অন্য এক দর্শক টুইট করেন, ‘‘এ রকম অস্বাভাবিক ওয়াইড ও নো বল করার কারণ জানাক সান্তোকি।’’ এই ঝড় থামতে না থামতেই আবারো ফিক্সিংয়ের সন্দেহের জন্ম দিলেন তিনি।
এবার দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের মুখোমুখি হয় সিলেট থান্ডার। গতকাল শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। এমতাবস্থায় স্যান্টোকি ক্রিজে এসেই ঝুঁকি নিয়ে রান নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পারেননি বরং রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এ নিয়েও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
জানা গেছে, ১৪তম ওভারের শেষ বলে স্যান্টোকির ব্যাট ছুঁয়ে বল মিড অফে থাকা ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। এ সময় রান নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর পরও স্যান্টোকি দৌড়ে উইকেটের মাঝপথে চলে আসেন। সে সময় নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা নাভিন উল হক স্যান্টোকিকে রান নিতে মানা করেন। কিন্তু তার পরও নিতে গিয়ে আউট হন তিনি। কারণ রাজশাহীর উইকেটরক্ষক লিটন দাস যখন বলের আঘাতে স্ট্যাম্প ভেঙে দিচ্ছেন, তখন হয়ত ডাইভ দিলে ক্রিজের সীমায় ঢুকে যেতে পারতেন স্যান্টোকি। কিন্তু সেই চেষ্টাও করেননি। এ কারণে সিলেটের টিম ম্যানেজমেন্টকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্যান্টোকিকের এসব বিষয়ে অসন্তোষ খোদ পরিচালক তানজিল চৌধুরী প্রকাশও।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.