স্পোর্টস ডেস্ক: সুইং ভেলকিতে নাকাল করেছেন প্রতিপক্ষকে। ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে ওয়াহাব রিয়াজ গুনে গুনে তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৫ ব্যাটসম্যানকে। তাতে উদ্ভাসিত জয় ধরা দিয়েছে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বসলেন টি টোয়েন্টি ফর্মেটে এটিই তার সেরা বোলিং।
তার ক্যারিয়ারের তো বটেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এই পর্যন্ত এটিই কোন বোলারের সেরা ফিগার। রিয়াজের রেকর্ডের শেষ অবশ্য এখানেই নয়। বিপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড। প্রথমটি একচ্ছত্র দখলে রেখেছেন আরেক পাক পেসার মোহাম্মদ সামি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন টি টোয়েন্টি ফর্মেটে এটিই তার সেরা সাফল্য।
রিয়াজ বলেন, ‘এটিই আমার সেরা বোলিং ফিগার। ৫ উইকেট আমি এর আগেও পেয়েছি। তবে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে এযাবতকালে এটিই আমার সেরা।’
রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে এই ম্যাচে শের ই বাংলার উইকেট পেসারদের সহায়ক ছিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, উইকেটে ফাস্ট বোলারদের জন্য অনেক কিছুই ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করা।’
এদিন মিরপুর শের ই বাংলায় যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের দেওয়া ১৭৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা উড়ন্তই করেছিলেন রাজশাহীর দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ধ্রুব ও লিটন দাস। মারমার কাটকাট ব্যাটিংয়ে মুহুর্মুহু মাশরাফি, মেহেদি, হাসান মাহমুদদের বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে চোখ রাঙাচ্ছিলেন। আর ঠিক তখনই জ্বলে উঠলেন রিয়াজ। একই ওভারে তিন টপ অর্ডারের এপিটাফ লিখে দিয়ে ঢাকা শিবিরে এনে দিলেন স্বস্তি।
এখানেই থামলে হয়ত রাজশাহীর জন্য মঙ্গলজনকই ছিল। শেষতক ফিরিয়েছেন আরো দুই ব্যাটসম্যানকে। তার এই বোলিং তোপেই মূলত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় আন্দ্রে রাসেলদের ইনিংস। ১০০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। আর তাতে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন মাঠ ছাড়ে ৭৮ রানের উদ্ভাসিত জয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।