নার্গানো-কারাবাখ যুদ্ধের কারণে আজারবাইজান দেশের নাম মিডিয়ার কল্যাণে অনেক বেশি আলোচনায় উঠে এসেছিল। ওই যুদ্ধে তারা আর্মেনিয়াকে হারিয়ে সবার প্রশংসা অর্জন করেছিল। আজ এ দেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতি, জীবন ব্যবস্থার বিস্তারিত জুম বাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
সোভিয়েত আমলের আজারবাইজানকে সবথেকে বেশি প্রগতিশীল বলা হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলে তারা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। দক্ষিণ ককেসাস অঞ্চলে আজারবাইজানের ভূখণ্ডে অবস্থিত।
ইরান, রাশিয়া ও কাস্পিয়ান সাগরের সাথে আজেরবাইজানের সীমান্ত রয়েছে। নার্গানো-কারাবাখ ভূখণ্ডের সমস্যা নিয়ে প্রায় সময় মিডিয়ায় আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার খবর প্রচারিত হয়।
বাকু হচ্ছে আজারবাইজানের রাজধানী। পৃথিবীর সবথেকে নিচু অঞ্চলের রাজধানী বলা হয় এটিকে। দেশটির প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১২৩ জন মানুষ বাস করে। আজারবাইজানে রুশ, ইরানি, ইউক্রেনীয়, জর্জিয়ান ও পাকিস্তানি মানুষ বাস করে থাকে।
দেশটির ৯৬ শতাংশ মানুষের ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। অন্যদিকে ৩ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ এখানে বাস করে। প্রায় এক ডজন ভাষা এখানে ব্যবহৃত হলেও আজারবাইজানি ভাষািই সব থেকে বেশি প্রচলিত।
পেট্রোলিয়াম গ্যাস এবং পেট্রোল কেমিক্যাল রিলেটেড পণ্য বিক্রির মাধ্যমে তাদের অর্থনীতি বেঁচে আছে। তাদের গ্যাস তুরস্কের মধ্য দিয়ে ইউরোপ পর্যন্ত রপ্তানি হয়। তারা এক বছরে ১১.৪ মিলিয়ন টন তেল উৎপাদন করতে সক্ষম।
স্টিল, সিমেন্ট, মেশিনারি এবং ফল উৎপাদনে আজারবাইজান সক্ষমতা দেখিয়েছে। তাদের মোট জিডিপির আকার ৭৩ বিলিয়ন ডলার হল ২৩ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি করা সম্ভব হয়।
প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ট্যুরিস্ট আজারবাইজানে ভ্রমণ করে থাকে। ভ্রমণকারীরা মূলত দেশটির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতা উপভোগ করার জন্যই এখানে এসে থাকে। আজারবাইজানের সবথেকে বড় কালচারাল ফেস্টিবল হচ্ছে নও রোজ।
আধুনিক আজারবাইজানে নাচ, আর্ট, গান নিয়ে অনেক ধরনের ফেস্টিবল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে আজারবাইজানের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় ককেশাস অঞ্চলের দুবাই বলা হয় এ দেশটিকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।