জুমবাংলা ডেস্ক : ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে প্লাবিত এলাকার সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত ১২টা পর্যন্ত চলা ভারী বর্ষণে জেলার ৭টি উপজেলার অন্তত ৩০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
এছাড়া অনেক জায়গায় তলিয়ে গেছে আঞ্চলিক ও মহাসড়ক, গ্রামীণ উপ-সড়ক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অনেক সড়ক। খাবার ও পানীয় জলের সংকটে পড়েছে প্লাবিত এলাকার লোকজন।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়া উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী জানান, উপজেলার হলদিয়া পালং, জালিয়াপালং, পালংখালী ইউনিয়নের প্রায়সহ আসপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে, হলদিয়া, জালিয়াপালং ও পালংখালীর অর্ধশত গ্রামের অন্তত লাখো মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। খাবার ও পানীয় জলের সংকটে পড়েছেন পানিবন্দীরা। দুর্ভোগের চেয়ে ত্রাণ খুবই অপ্রতুল।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, হঠাৎ পানি বাড়াতে লোকজন রান্নাও করতে পারেনি। রাতে রান্না করা খাবার পানি বন্দী পরিবারগুলোর মাঝে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় নয় উপজেলায় টেকনাফ ও মহেশখালী ছাড়া বাকী ৭টি উপজেলায় ৪৭ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে, প্রয়োজন মতো সহায়তা দেওয়া যাবে।
এদিকে, শুক্রবার (২ আগস্ট) ভোরের দিকে বৃষ্টিপাত থেমেছে। এভাবে সারাদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকলে পানি নেমে দুর্ভোগ কমতে পারে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।