পৃথিবীর অখন্ডিত দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজার। এখানে ইউনিক প্রজাতরি লাল কাকড়া পর্যটকদের বিমোহিত করে। কক্সবাজারের সুগন্ধা, কলাতলী এবং লাবণ্য পয়েন্টে কয় বছর আগে অনেক লাল কাঁকড়ার দেখা মিলতো। এ বিষয়টি দেশীয় এবং বিদেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করত।
লাল কাঁকড়াকে বলা হয় প্রকৃতির নীরব প্রহরী। এটি মৃত উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অংশ খেয়ে থাকে। এ বিষয়টি মাটিতে পুষ্টি যোগায় এবং পুষ্টিচক্র বজায় রাখে। পাশাপাশি এটি মাটির বায়ু চলাচল বৃদ্ধি করে। এজন্য উপকূলীয় বনভূমি রক্ষায় এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কক্সবাজারে ঘোড়া চালনা করা হয় এবং ব্যবস্থাপনার কারণে কাঁকড়ার বাসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের বংশবৃদ্ধির প্রক্রিয়াতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সমুদ্রের দূষণ কক্সবাজারে লাল কাঁকড়ার অন্যতম প্রধান শত্রু।
কক্সবাজারে এ দূষিত পানি লাল কাকড়ার জীবন যাপনের উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লাল কাঁকড়ার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে লাল কাকড়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া কক্সবাজারের উপকূলে অবৈধ মৎস্য শিক্ষার লাল কাঁকড়ার জন্য বড় হুমকি। নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার এবং অবৈধ মৎস শিকারের ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। জনবসতি কম থাকলে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ লাল কাকড়ার জন্য আদর্শ হলে তাদের বংশবৃদ্ধি ভালোভাবে চলতে থাকবে। সামগ্রিকভাবে জীববৈচিত্র রক্ষায় বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।