চলতি বছরের ১০ অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন আলমগীর হোসেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি স্বজনরা। ছেলেকে না পেয়ে অস্থির হয়ে ওঠেন বাবা-মা।
অবশেষে নিখোঁজের ৫৬ দিন পর বাড়ির পাশের পুকুরে একটি কঙ্কালের সন্ধান মেলে। কঙ্কালের পরনের প্যান্ট দেখে ছেলেকে শনাক্ত করে কেঁদে ফেললেন আলমগীরের বাবা।
আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের কাতব আলি বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের উজ্জ্বল মোল্লার পুকুর থেকে আলমগীরের কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তারা হলেন- খাদিমপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে শিপন আলী ও তার স্ত্রী ইভা খাতুন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার ভোরে হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, শুক্রবার সকালে গ্রামের লোকজন মাছ ধরার জন্য উজ্জ্বল মোল্লার পুকুর থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় একজনের হাতে আলমগীরের পায়ের অংশ উঠে আসে। পরে কচুরিপানার নিচে কঙ্কাল দেখতে পান তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিপন ও তার স্ত্রী ইভা গা-ঢাকা দেন। রাতেই প্রধান অভিযুক্ত শিপন ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রাতে আলমডাঙ্গা থানায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।