করোনাভাইরস সংক্রমণ রোধে গতকাল সোমবার থেকে ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিশাল পশুহাট বসেছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে। আজ মঙ্গলবার পাঁচবিবি পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই হাট বসে। প্রসাশনের দাবি, পশুর হাট বসানোর বিষয়টি জেলা প্রশাসনের এখতিয়ার। তাই তাদের করার কিছু নেই।
একই সঙ্গে শহরের সাপ্তাহিক হাটে দোকানপাট খোলা রয়েছে। সড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আশেপাশের প্রায় ১০টি জেলার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে হাটে। হাটে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।
পশুর হাটে আসা নওঁগা জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতাদিঘী গ্রামের গরু বিক্রেতা মশিউর রহমান জানান, সবাই গরু হাটে নিয়ে আসছে, তাই আমিও গরু নিয়ে এসেছি। করোনাভাইরাসের কথা বললে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমাদের হবে না’।
পাঁচবিবি বণিক সমিতির সভাপতি ভরত প্রসাদ গোয়ালা বলেন, ‘পশুরহাট যদি লাগে তাহলে আমাদের দোকানপাট খুলে ব্যবসা করতে সমস্যা কোথায়?’
উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল শহিদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলব না।
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা (পিপিএম) বলেন, পাঁচবিবির পশুরহাট লাগানোর বিষয়টি জেলা প্রশাসকের এখতিয়ার আমাদের করার কিছু নেই।
জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, পশুরহাট সরিয়ে অন্যত্র বসানোর কথা। সেটি না হয়ে থাকলে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। পশুরহাট খোলা রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সাংঘর্ষিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।