শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার।
কঠোর এ লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হতে পারবে না। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এবং ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। শিশু খাদ্যসহ জরুরি পণ্য সরবরাহের যানবাহন চালু থাকবে।
লকডাউনের বাইরে থাকবে গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে যেতে পারবে। তবে এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার প্রজ্ঞাপন জারির পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এ লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে পুলিশ ও বিজিবি। সেনাবাহিনীও মাঠে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, এটি যাতে কঠোরভাবে প্রতিপালন হয়, সেজন্য বেশ কড়াকড়ি থাকবে। পুলিশ এবং বিজিবি মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এই এক সপ্তাহের জন্য সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থাকার সম্ভাবনা আছে।
এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা আমাদের আছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাতে বের হতে না হয় সেজন্য শ্রমজীবী মানুষদের সহযোগিতা করা হবে।
আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে যাতে স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
গেল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনের’ সুপারিশের কথা জানানো হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।