ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সরকারের পূর্বঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে দেখা যায়, রাজধানীর প্রবেশ পথ আমিনবাজার ব্রিজে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। যে কারণে দূরপাল্লার সব যাত্রীদের আমিনবাজারে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় হেঁটে, রিকশা ও ভ্যানে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন যাত্রীরা।
ট্রাফিক বিভাগ পুলিশ জানিয়েছে, দূরপাল্লার কোনো পরিবহনকে রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে যারা গতকাল রাতে রওনা করেছেন, সেতুর টোল বক্সের টোকেন দেখে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায় কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড়, গাবতলী, মাজার রোড এবং পর্বত এলাকায় যাত্রীরা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তাদের কারো হাতে ব্যাগ, আবার কারো কোলে শিশু বাচ্চা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আমিনবাজার থেকে তাদের হেঁটেই ফিরতে হচ্ছে।
আমিন বাজার ব্রিজে কথা হয়, পঞ্চগড় থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে গিয়েছিলাম। লকডাউনে আটকা না পড়তে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় রওয়ানা দিয়েছিলাম। যানজটের কারণে বাস ঢাকায় ঢুকে সকাল ৯টায়। আমিনবাজার ব্রিজে আসলে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এখন হেঁটেই ফিরতে হচ্ছে মোহাম্মদপুরের বাসায়।
ট্রাফিক বিভাগের চেকপোস্টের কারণে আমিনবাজারে যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যায়। চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ বলেন, যারা বিধিনিষেধ শুরুর আগে রওয়ানা দিয়েও ঢাকা ঢুকতে পারেননি, শুধু তাদেরই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে পায়ে হেঁটে। লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো গণপরিবহনকে যাত্রীসহ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে পথচারীদের মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।