শিশুরা চকোলেট খাওয়ার জন্য হরহামেশাই বায়না ধরে। পছন্দের চকোলেট না পেলেই কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। কান্না থামানোর জন্য বাবা-মায়েরা সাথে সাথেই কিনে দেন। আর তাতে অভ্যস্ত হয়ে যায় সন্তান। ধীরে ধীরে চকোলেটের প্রতি তাদের আসক্তি বাড়তেই থাকে। সন্তান চকোলেট খেতে চাইলেই সাথে সাথে কিনে দেওয়া যাবে না। আগে বাবা-মাকে জানতে হবে সন্তানকে কোন বয়স থেকে চকোলেট দেওয়া উচিত এবং বেশি চকোলেট খেলে কী ক্ষতি হয়?
ভারতের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পল্লব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুই বছর বয়সের পর থেকেই সন্তানকে চকোলেট দেওয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু দিকে খেয়ালও রাখতে হবে। গলায় আটকে যায় এমন সব চকোলেট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি স্লিপারি চকোলেট না দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এই সময় সন্তানদের চকোলেটের বার দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভিতরে বিস্কুট এবং বাইরে চকোলেটের প্রলেপ আছে, এমন সব খাবার দিতে পারেন। তাতে তাদের মধ্যে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস জন্মাবে।
ডা. পল্লব চট্টোপাধ্যায় একইসঙ্গে চকোলেট খাওয়ার ক্ষতি সম্পর্কেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চকোলেটে চিনির মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই বেশি চকোলেট খেলে শিশুর দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। চকোলেটে সুগার, ফ্যাট ও অতিরিক্ত ক্যালোরিও থাকে। তাই প্রতিদিন চকোলেট খেলে সন্তানের ওজন বাড়তে পারে। এবং শৈশবকালীন স্থূলতায় ভুগতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত চকোলেট খেলে শিশুর শরীরে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো কঠিন ব্যাধিও বাসা বাধে। অন্য দিকে চকোলেটে ক্যাফেইন থাকে, যা ঘুম কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে যাওয়ার কারণে হতে পারে হজমের সমস্যাও।
তবে কি চকোলেট খাবে না সন্তান?
ছোট্ট সোনামনিকে মাঝে মধ্যে একটি-দুটি চকোলেট দিতেই পারেন। তবে বাবা-মায়েদের নিশ্চিত করতে হবে, দাঁতে যেন তার অবশিষ্টাংশ লেগে না থাকে। নয়তো তা থেকে দাঁতের ক্ষয় হয়। তাই চকোলেট খাওয়ার পর সন্তানকে পানি পান করাতে হবে। প্রয়োজনে দাঁত ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে।
মাত্রা ছাড়ানো যাবে না
সন্তান চকোলেট খেতে ভালোবাসে বলেই তাকে ১০-১২টি চকোলেট ধরিয়ে দেওয়া যাবে না। এক দিনে কয়টি খেতে পারবে তা সন্তানকে স্পষ্ট করে দিতে হবে। পাশাপাশি রাতের দিকে সন্তানকে চকোলেট দেওয়া যাবে না। ডা. পল্লব চট্টোপাধ্যায় মনে করেন চকোলেটে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন শিশুর ঘুমে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দুপুর ৩ টার পর থেকে সন্তানকে চকোলেট না দেওয়াই ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।