নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিশে আছে আমাদের জাতীয় সত্তার প্রতিটি অস্তিত্বের সাথে। তিনি বিশ্ববরেণ্য এমন এক নেতা যিনি দেশের মানুষের একখন্ড স্বাধীন ভূমির জন্য জেল, জুলুম, নির্যাতন অকাতরে সহ্য করেছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য এবং একটি উন্নত, সমৃদ্ধ শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সমগ্র জীবন উৎসর্গ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের মানুষকে স্বাধীন ভূখন্ড উপহার দেন। অথচ সেই বঙ্গবন্ধুকেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এদেশের কিছু বিপথগামী মানুষ নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈক জীবন, আদর্শ, মূল্যবোধ, ও কর্মের জগৎকে অনাগত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তাঁর ৪৭ তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মোহাম্মদপুরে বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে ‘কথা ও কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও তাঁর অস্তিত্ব আজও মিশে আছে আমাদের অন্তরে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শিরীন আহমেদ ও এ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম জুই এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার।
অন্যান্যের মধ্যে এতে উপস্থিত ছিলেন বিটিভির সাবেক পরিচালক কবি নাসির আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডল, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোঃ কার্জনুর রহমান, কবি আসলাম সানী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, কবি শিশির বিন্দু, আক্তার বানু লিপি।
অনুষ্ঠান শুরুতেই ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুন নবী ভোলা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড, ইউনিট আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
আলোচকরা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন ও কবিতা পাঠ করেন। উপস্থিত সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।