বিনোদন প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম প্রতিনিধিত্বশীল আবৃত্তি ও মনন চর্চার সংগঠন উচ্চারক উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ ২০ বছর পূর্তি শেষে ২১ বছরে পদাপর্ণ করেছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫ টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুভেচ্ছা আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও সঙ্গীত পরিবেশনে মিলিত হয়েছেন দেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, নাট্যজন, সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তিশিল্পীরা।
উচ্চারকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহেরের ভূমিকাপূর্বক সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা কথা শুরু করেন কবি ও নাট্যজন শিশির দত্ত।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে উচ্চারকের থিমসং ‘বুকে বাজে দ্রোহের বীণা, মুখে সত্য উচ্চারণ, আমরা মুক্ত উচ্চারক’ এর আবহের সঙ্গে জন্মদিনের কেক কেটে আশির্বচন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও ভাষাবিজ্ঞানী ড. মাহবুবুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি সাথী দাশ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সুজিত রায়, নাট্য সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির, নাট্যকার রবিউল আলম, উদীচীর কেন্দ্রীয় নেতা ডা. চন্দন দাশ, নাট্যকার প্রদীপ দেওয়ানজী, কবি কমলেশ দাশগুপ্ত, কবি আকতার হোসাইন, চিটাগং এলিট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আমানুল্লাহ আল ছগির ছুট্টু, নাট্যশিল্পী শুভ্রা বিশ্বাস, নৃত্যশিল্পী শুভ্রা সেনগুপ্তা, কবি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, কবি কাশেম আলী রানা, নাট্যশিল্পী শামসুল কবির লিটন, নাট্যজন স্বপন মজুমদার, লেখক খন রঞ্জন রায়, ছড়াশিল্পী আবুল কালাম বেলাম, উৎপল বড়–য়া ও অরুণ শীল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহমেদ, সংগীত ভবনের পরিচালক নুরুন্নবী মিরন, ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, নাট্য নির্দেশক সুচরিত চৌধুরী টিংকু, নাট্যজন মাজহারুল আলম তিতুমীর ও সাইফুল ইসলাম, কবি আলী প্রয়াস, আবৃত্তিশিল্পী মো. মুজাহিদুল ইসলাম, অনির্বাণ চৌধুরী, শাকিল আহমেদ, ঋধিতা পাল, প্রজ্ঞা পারমিতা, সঙ্গীতশিল্পী ফজলুল হক মানিক প্রমুখ।
উচ্চারকের পক্ষে বন্ধু সংগঠনের দেওয়া ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন উচ্চারক সহসভাপতি এ এস এম এরফান, মৌসুমী চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শামীমা ইয়াছমিন, উচ্চারক এ্যানি চৌধুরী, পুনম দত্ত, রোকসানা আফরিন, হামিদ উদ্দিন, মিকা মন্ডল, মোবারক হোসেন, ইশামণি, সোনিয়া আক্তার, রোবাইয়া বিনতে আকবর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মো. মোস্তফাকামাল, শিল্পী আবদুর রহিম ও শিল্পী আংকিতা নন্দী। শিল্পীদের তবলায় সঙ্গত করেন উচ্চারক সদস্য সাগর ভট্টাচার্য্য।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চারক তাদের যাত্রালগ্ন থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীলতার মধ্য দিয়ে নিরেট আবৃত্তি চর্চাই করে আসছে। লোক দেখানো কোনো কাজের প্রতি উচ্চারকের কখনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তারা যে কাজটি করে, সেটা বিশ্বাস এবং দায়িত্বশীলতা থেকেই করে। তাদের কাজে যেমন রয়েছে শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা, রয়েছে দেশ ও জাতির প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও দায়বদ্ধতা। তাই সৃজনশীল অনুষ্ঠান ও আবৃত্তি প্রযোজনার মধ্য দিয়ে উচ্চারক সারাদেশে সমাদৃত হয়েছে।
উচ্চারককে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বন্ধুসংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, বিগত ২০টি বছর অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে, সৃজনশীলতার সঙ্গে উচ্চারক আবৃত্তি অঙ্গনে কাজ করেছে। তাদের বেশ কয়েকটি বৃন্দ প্রযোজনা ও শ্রুতি প্রযোজনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। আগামিতেও দৃঢ়তার সঙ্গে নতুন আঙ্গিকে ও চিন্তার নতুনত্বের প্রতিফলন ঘটাবে তাদের কাজে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।