চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দেশের অন্যতম প্রতিনিধিত্বশীল আবৃত্তি ও মনন চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ ২১ বছরপূর্তি শেষে ২২ বছরে পদাপর্ণ করেছে।
এ উপলক্ষে বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির জয়নুল আর্ট গ্যালারি হলে শুভেচ্ছা বিনিময়, আড্ডা, স্মৃতিচারণ, নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশনে মিলিত হয়েছেন দেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, নাট্যজন,
সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তিশিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে উচ্চারকের থিমসং ‘বুকে বাজে দ্রোহের বীণা, মুখে সত্য উচ্চারণ আমরা মুক্ত উচ্চারক’ এর আবহের সঙ্গে জন্মদিনের কেক কেটে আশির্বচন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপনপর্ব শুরু হয়।
উচ্চারকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক ফারুক তাহের এবং সহসভাপতি এ এস এম এরফানের
সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা পর্বে কথামালায় অংশগ্রহণ করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী জয়ন্তী লালা, নারীনেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কবি মালেক মুস্তাকিম, কবি ফাউজুল কবির, নাট্যজন মশিউর রহমান আদনান, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কাবেরী সেনগুপ্তা, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ, নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, জেলা কালচারাল অফিসার নাট্যজন মোসলেম উদ্দিন সিকদার, সংগীতশিলী মো. মোস্তফা কামাল যাত্রা, চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সভাপতি খালেদ হেলাল, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সাবেক
সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, কবি ও চিত্রশিল্পী বিজন মজুমদার, নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক প্রমা অবন্তী, নাট্যনির্দেশক মোস্তফা
কামাল যাত্রা, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী সজল চৌধুরী, উদীচী, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা, আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, কবি শহিদ মিয়া বাহার, বাউল তাত্ত্বিক নাট্যজন স্বপন মজুমদার, লেখক খন রঞ্জন রায়, ছড়াশিল্পী মোদাচ্ছের আলী, চবি অধ্যাপক সুবীর মহাজন, সংগীতশিল্পী মানস শেখর, সংবাদ উপস্থাপক রেখা নাজনীন, অধ্যাপক বাবলা চৌধুরী, কবি আলী প্রয়াস, আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরী, উচ্চারকের সাধারণ সম্পাদক শামীমা ইয়াছমিন, আবৃত্তিশিল্পী সুপ্রিয়া চৌধুরী, সেলিম ভুইয়া, মীর রাতুল হাসান, সংগীতশিল্পী ফজলুল হক মানিক, স্নিগ্ধা সিকদার, মোহাম্মদ বেলাল, স্নিগ্ধা চৌধুরী,
আলা উদ্দিন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আবদুর রহিম, তুলতুল চৌধুরী, পড়শী বড়ুয়া ও প্রিয়ন্তী বড়ুয়া। নৃত্য পরিবেশন করেন তন্বী বড়ুয়া ও প্রাচী চৌধুরী।
উচ্চারককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বোধন, তারুণ্যের উচ্ছাস, একুশ, প্রমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, নাট্যাধার, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চারক তাদের যাত্রালগ্ন থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীলতার মধ্য দিয়ে নিরেট আবৃত্তি চর্চাই করে আসছে। লোক দেখানো কোনো কাজের প্রতি উচ্চারকের কখনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তারা যে কাজটি করে, সেটা বিশ্বাস এবং দায়িত্বশীলতা থেকেই করে। তাদের কাজে যেমন রয়েছে শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা, রয়েছে দেশ ও জাতির প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দায়বদ্ধতা। তাই সৃজনশীল অনুষ্ঠান ও আবৃত্তি প্রযোজনার মধ্য দিয়ে উচ্চারক সারাদেশে সমাদৃত হয়েছে।
উচ্চারককে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বন্ধুসংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, বিগত ২১টি বছর অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে, সৃজনশীলতার সঙ্গে উচ্চারক আবৃত্তি অঙ্গনে কাজ করেছে। তাদের বেশ কয়েকটি বৃন্দ প্রযোজনা ও শ্রুতি প্রযোজনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। আগামিতেও তারা দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।