বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত প্রয়াত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী নিজে কানাডার অভিবাসী না হলেও তার চতুর্থ ছেলে জয়নাল চিশতী এখন কানাডার অভিবাসী। তিনি কানাডায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বর্তমানে জয়নাল স্ত্রীকে নিয়ে ওটোয়ায় থাকেন। মায়ের মৃত্যুতে সে ভেঙ্গে পড়ছে। ক রো না র কারণে অসুস্থ মাকে দেখা সম্ভব হয়নি।
জয়নালের নিকটতম আত্মীয় সঙ্গীতশিল্পী নাহিদ কবির কাকলী জানান, সে মেয়ের শোকে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। জয়নাল ফোন এবং ফেইসবুক আইডিতেও সাড়া দিচ্ছেন না! তার মধ্যে তার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবনা।
২০০৭ সালে ইমিগ্রেশন নিয়ে কানাডায় এলেও কয়েকমাস পর দেশে ফিরে যান এবং পি এর কার্ড সারেন্ডার করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করে সাংসদ নির্বাচিত হন কবরী।
তিনি প্রথমে চিত্ত চৌধুরীকে বিয়ে করেন। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর সফিউদ্দীন (বাবু) সরোয়ারকে বিয়ে করেন ১৯৭৮ সালে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ফলে মিনা পাল থেকে কবরী চৌধুরী পরে কবরী সারোয়ার হন। পরবর্তীতে সারাহ বেগম কবরী নাম ধারণ করেন। এই নামেই ২০১৭ সালে তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশিত হয়।
কবরীর প্রথম ঘরে দুই ছেলে এবং দ্বিতীয় ঘরে তিন ছেলে। বড় অঞ্জন চৌধুরী আমেরিকায় পড়াশোনা করে দীর্ঘ দিন ধরে সেখানেই স্থায়ী। দ্বিতীয় ছেলে রিজওয়ান চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে দুবাইয়ে চাকরি করছেন।
তৃতীয় ছেলে শাকের ওসমান চিশতী সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ইংল্যান্ডেই বসবাস শুরু করেন। আর সবচেয়ে ছোট শান ওসমান চিশতী (প্রায় ৩০) ঢাকায়। শান মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধী।
তিন ছেলের নামে ‘চিশতী’ সম্পর্কে নাহিদ কবির কাকলী জানান, তার দ্বিতীয় ঘরের সন্তানেরা ‘সারোয়ার’ বা ‘ওসমান’ ব্যবহার করেন। কিন্তু বাবু সারোয়ার এবং কবরী আজমীর শরীফের খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর অন্ধ ভক্ত ছিলেন। সে জন্য তারা ছেলেদের নামের শেষে ‘চিশতী’ যুক্ত করেন। সূত্র : ইত্তেফাক
চালু হচ্ছে ৬ লেনের কালনা সেতু, ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব কমবে ২০০ কি.মি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।