চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘কবিতার রয়েছে অমিত সাহস ও শক্তি। সেই শক্তি দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ যেমন করা যায়, অধিকার ছিনিয়ে আনার হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।’
দেশের অন্যতম প্রধান আবৃত্তি ও মনন চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিনের শ্রতি আবৃত্তি উৎসবের দ্বিতীয় ও সমাপণী দিনের অনুষ্ঠানে গতকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
পেয়ারুল ইসলাম বলেন, সমাজ যখন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হয়, তখন কবিতাকর্মী তথা আবৃত্তিশিল্পীরা তাদের সেই অন্ধকারে আলো জ্বালানোর কাজ করে থাকে। সমাজ-সভ্যতা ও প্রজন্মকে আলোর পথ দেখায় আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
উচ্চারক সভাপতি ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক সংগঠক আবদুল হালিম দোভাষ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রকাশ দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লেখক খন রঞ্জন রায়।
অতিথিরা বলেন, বাংলা ভাষাকে শুদ্ধভাবে চর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠনগুলো অনন্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। তাঁরা সমাজের উন্নয়নে নিজেদের আত্মনিবেদন করে যাচ্ছে বলেই কিছুটা আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায়।
ভাষাশহীদদের উৎসর্গকৃত এই উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয় ওডিসী এ্যান্ড টেগোর ড্যান্স মুভমেন্ট সেন্টার। উৎসবে আমন্ত্রিত আবৃত্তি ও শ্রুতিশিল্পীদের মধ্যে আবৃত্তি করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ, জয়ন্ত রায়, মিসবাহ রাবিন, পলি পারভীন, ময়মনসিংহের আসাদুজ্জামান রুবেল, আল-ইমরান, মেহেদী হাসান আকাশ, বাচিকশিল্পী ক্রিড়াভাষ্যকার নিখিল রঞ্জন দাশ, আবৃত্তিশিল্পী সনজীব বড়–য়া, কবি ও আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, মছরুর হোসেন, তাসলিম হাসান, বর্ষা চৌধুরী, ঐশী পাল।
কবি ও ছাড়াশিল্পীদের মধ্যে পাঠ করেন আকতার হোসাইন, বিজন মজুমদার, শহিদ মিয়া বাহার, অনুপমা অপরাজিতা, উৎপল কান্তি বড়–য়া, আবুল কালাম বেলাল, বাবলা চৌধুরী ও সুজিত সাহা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।