জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পূর্ব ভেলাবাড়ি গ্রামের কমর উদ্দিনের বিধবা মেয়ে কবিরাজ শাহিনা বেওয়াকে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার রোগী ও পরকীয়া প্রেমিক দবিয়ার রহমান ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগম।
সোমবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফাজ উদ্দিনের আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এর আগে ৭ নভেম্বর সদর উপজেলার চরাঞ্চল খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি আনন্দ বাজার পাকার মাথা এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিধবা শাহিনা বেওয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহিনা বেওয়া পেশায় একজন কবিরাজ। তার রোগী ছিলেন সদর উপজেলার খোচাবাড়ি এলাকার দবিয়ার রহমান। চিকিৎসার এক পর্যায়ে স্বামীহারা হন কবিরাজ শাহিনা বেওয়া। এরপর রোগী দবিয়ারের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন শাহিনা বেওয়া।
চিকিৎসায় দবিয়ার রহমান সুস্থ হলে বিয়ের জন্য চাপ দেন শাহিনা বেওয়া। কিন্তু স্বামীর পরকীয়া প্রেম ও বিয়ে মানতে নারাজ দবিয়ারের স্ত্রী শাহিনা বেগম। বিয়ের জন্য প্রায় সময় দবিয়ারের বাড়িতে অবস্থান নেয় শাহিনা বেওয়া। এতে অতিষ্ট হয়ে দবিয়ার রহমান ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগম পরিকল্পনা করে গত শুক্রবার কৌশলে ডেকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা শাহিনা বেওয়াকে হত্যা করে।
পরদিন শনিবার সকালে কালমাটি আনন্দবাজার পাকার মাথা চরাঞ্চলে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিলে তার আত্মীয়-স্বজনরা মৃত শাহিনা বেওয়ার পরিচয় শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহত শাহিনা বেওয়ার ভাই একরামুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মামলার মূল হোতা পরকীয়া প্রেমিক দবিয়ার ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগমকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার দবিয়ার-শাহিনা দম্পত্তিকে সোমবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফাজ উদ্দিন এর আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান সদর থানার ওসি শাহ আলম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।