জুমবাংলা ডেস্ক : গত ৪-৫ দিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে বিপদ সীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়ে হয়েছে তিস্তার তীরবর্তী নির্মাণ অঞ্চল। তবে আজ দুপুরের পর থেকে ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার তথ্যমতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছ যা, বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এদিকে পানি তলিয়ে গেছে লালমনিরহাট সান্তাহার রেলরুটের অর্ধকিলোমিটার রেল পথ।
ফলে দিনভর ঝুঁকি নিয়েও ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করেছে।পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাট সান্তাহার রেলরুটের লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর এলাকায় অর্ধকিলোমিটার রেলপথ ডুবে যায়।তবে তবে এখনো লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় দশ হাজার পরিবারে বাড়িঘর পানিবন্দী হয়ে রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, আমরা বন্যা কবলি এলাকা পরিদর্শন করেছি, জেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানি বন্দি রয়েছে। আমরা প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তোদের তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে,বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে ৯০মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ করা হয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।তিনি বলেন নদীর গভীরতা কমে যাওয়ার করনে অল্প ও পানিতেই নির্মল প্লাবিত হচ্ছে ।তিনি আরও জানিয়েছে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, পনি কমতে শুরু হলে নদী ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। ভাঙ্গন শুরু হলে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে করা হবে।
গাইবান্ধার এই ‘অচিনবৃক্ষ’ ঘিরে রয়েছে নানান রহস্য, বয়স ৫০০ বছর!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।