কমলালেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। তবে শুধু কমলালেবু বললে ভুল বলা হবে, এর খোসাতেও রয়েছে ভিটামিন সি। আর তা আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত কমলালেবু খেলে ত্বক ভালো থাকে তা সবাই জানেন। রূপচর্চায় কমলালেবুর খোসা প্রায়শই ব্যবহার হয়। রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারেন কমলালেবুর খোসা। কমলালেবুর খোসা পুষ্টিতে ভরপুর। কমলালেবুর খোসায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। খাবারে স্বাদ, গন্ধ, ফ্লেভার ও পুষ্টি বৃদ্ধি করতে কমলালেবুর খোসা দারুণ উপকারী।
কোন রান্নায় কী ভাবে কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করবেন, রইল টিপস
ভিনিগার ও তেল: সাদা ভিনিগারের মধ্যে কমলালেবুর খোসা ভিজিয়ে রেখে দিন। খাবার তৈরির সময় ওই কমলালেবুর খোসার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদ বেড়ে যাবে। একইভাবে, অলিভ অয়েলের মধ্যে কমলালেবুর খোসার কুচি ভিজিয়ে রাখুন। কোনও রান্না বা ম্যারিনেশনে ওই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতেও খাবারে কমলালেবুর ফ্লেভার পেয়ে যাবেন। সালাদ তৈরিতেও এই কমলালেবুর খোসা ভেজানো তেল ও ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন।
বেকিং: শীতকালে বাড়িতে মাঝেমধ্যে অনেকেই কেক, কুকিজ বানান। কেকের ব্যাটার তৈরি করার সময় তাতে কমলালেবুর খোসার জিস্ট মিশিয়ে কমলালেবুর খোসা কুড়ে নিন। সেটা ব্যাটারে মিশিয়ে দিন। এতে কেকে কমলালেবুর ফ্লেভার চলে আসবে। তবে, খেয়াল রাখবেন কেক যেন তেতো না হয়ে যায়।
কমলালেবুর খোসার চা: কমলালেবুর খোসা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। এখন অনেকেই দুধ-চা ছেড়ে হার্বাল চা খেতে পছন্দ করছে। ট্রাই করে দেখতে পারেন কমলালেবুর খোসার চা। কমলালেবুর খোসা পানির সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। এর সঙ্গে একটা দারুচিনির কাঠিও ফুটিয়ে নিন। তৈরি কমলালেবুর খোসার চা। এই চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর। এই চা হজমে সহায়তা করে, ইমিউনিটি বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।