জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের পটিয়ায় চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা নিহতের ঘটনায় চাচা জালাল উদ্দীনকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড এলাকা থেকে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের যৌথ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জালাল পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, রাশেদের ছোট বেলায় বাবা মারা যান।
তারপর মা অন্যত্র বিয়ে করেন। দাদা-দাদির কাছেই বড় হন রাশেদ। চাচা জালাল উদ্দিন চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ১৬ নভেম্বর ঘটনার দিন রাতে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে দেখতে পান ভাতিজা তার একটি কম্বল ব্যবহার করছেন।
যেটি তার শহরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি নিয়ে চাচা-ভাতিজার মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জালাল ছুরি দিয়ে রাশেদের গলায় আঘাত করেন। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা নিহতের ঘটনার পর থেকে সিআইডি বিষয়টি নিয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এক পর্যায়ে জানা যায় অভিযুক্ত জালাল চান্দগাঁও থানা এলাকার খাজা রোড এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করেন। শুক্রবার রাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালাল কম্বল আনাকে কেন্দ্র করে তার ভাতিজাকে হত্যা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জালালকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রাতে নিহত রাশেদের স্ত্রী তাসমিন আকতার বাদী হয়ে চাচা জালাল উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি করার পর থেকেই সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করে এবং ঘটনার সাত দিনের মাথায় আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।