Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায়:সহজ টিপস!
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায়:সহজ টিপস!

    লাইফস্টাইল ডেস্কSoumo SakibJuly 3, 202514 Mins Read
    Advertisement

    সকাল আটটা। ঢাকার গুলশান থেকে আজিমপুরের বাসে ঠাসাঠাসি ভিড়। জামা কাঁচুমাচু, চুল এলোমেলো, ঘামে ভেজা গায়ে আটকে থাকা শার্ট। আয়নার দিকে তাকাতেই মনে হলো, “আমি তো দেখতে একদম…”। হঠাৎ চোখ আটকালো পাশের সিটের তরুণীর দিকে। সরল কটন সালোয়ার-কামিজ, হাতে রঙিন কাচের চুড়ি, গলায় হাত বোনা মালা। মুখে প্রাণবন্ত হাসি। জিজ্ঞেস করলাম, “অপু, এত সুন্দর জিনিসপত্র কোথায় পেলে?” উনি মিষ্টি হেসে বললেন, “দিদি, নিউমার্কেটে নিলামের দোকান! পুরো সেট দুইশো টাকায়!” সেই মুহূর্তে টের পেলাম, স্টাইল কখনোই খরচের ব্যাপার নয়; এটা একটা দৃষ্টিভঙ্গির নাম। স্টাইল মানে ব্র্যান্ডেড শপিং মল নয়, স্টাইল মানে আপনার নিজস্বতা, আপনার বুদ্ধিমত্তা, আপনার সৃজনশীলতার প্রকাশ। আর হ্যাঁ, কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায় জানাটাই আজকের এই যুগে সবচেয়ে বড় ‘পাওয়ার ড্রেসিং’। কারণ, যখন অর্থনীতি চাপ দিচ্ছে, তখন স্মার্টনেস দিয়েই জিততে হয়। চলুন, জেনে নিই কিভাবে বাজেটের মধ্যে থেকেও আপনাকে করবেন ট্রেন্ডসেটার!

    কম খরচে স্টাইলিশকম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায়: ভেঙে ফেলুন ভুল ধারণাগুলো!

    স্টাইল মানেই বিপুল বিনিয়োগ? একদমই না! আসল স্টাইল শুরু হয় মনোজগৎ থেকে। প্রথমেই ভেঙে ফেলতে হবে সেই পুরনো ধারণা যে দামি ব্র্যান্ড বা ফ্যাশন উইকের ল্যাটেস্ট কালেকশন ছাড়া স্টাইলিশ হওয়া যায় না। ঢাকার ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হকের মতে, “বাংলাদেশি যুবসমাজের মধ্যে একটা বড় ভুল ধারণা কাজ করে যে ফ্যাশন শুধুই বিলাসিতার বিষয়। বাস্তবে, আমাদের ঐতিহ্য, স্থানীয় কাপড়, আর রিসাইক্লিং আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগিয়েই অনন্য স্টাইল তৈরি করা সম্ভব। স্টাইলিশনেস হল সচেতন পছন্দ, নিছক খরচ নয়।”

    • কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায়: ভেঙে ফেলুন ভুল ধারণাগুলো!
    • ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোব গড়ে তুলুন: গুণে কম, কাজে বেশি!
    • মাস্টার দ্য আর্ট অফ মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ: পুরনোকে নতুন করে দেখুন!
    • অ্যাকসেসরিজ: স্টাইলের জাদুকরী ছোঁয়া (জুয়েলারি নয়, বুদ্ধি!)
    • স্টাইলিশ চুল ও মেকআপ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেই তুলে ধরুন
    • শপিং স্মার্টলি: খুঁজে নিন লুকানো রত্ন!
    • যত্ন নিন, টেকসই হোন: টেকসই ফ্যাশন চর্চা
    • আত্মবিশ্বাসই সেরা স্টাইল স্টেটমেন্ট: লক্ষ্য করুন, যে কাপড়ে আপনি সবচেয়ে স্বস্তিবোধ করেন, সেটাই আপনাকে সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এই আত্মবিশ্বাসই আপনার উপস্থিতিকে করে তোলে আকর্ষণীয়। চট্টগ্রামের এক উঠতি মডেল, সাকিব, শেয়ার করেন তার গল্প: “অডিশনে যাওয়ার সময় আমার হাতে টাকা ছিল না। বাবার পুরনো একটা হালকা নীল শার্ট আর জিন্স প্যান্ট মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করলাম। ভেবেছিলাম বাদ পড়ব। কিন্তু জাজরা বললেন, আমার কনফিডেন্স আর সেই শার্ট-জিন্সের ক্যাজুয়াল কম্বিনেশনটাই আলাদা! ব্র্যান্ড নয়, আপনার বহন করার ভঙ্গিই মুখ্য।”
    • পরিচ্ছদ নয়, ব্যক্তিত্বই মুখ্য: আপনার হাসি, আপনার কথাবার্তার ভঙ্গি, আপনার অঙ্গভঙ্গি, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা – এগুলোই আপনাকে সত্যিকারের ‘স্টাইলিশ’ করে তোলে। দামি গাউন পরে রূঢ় আচরণের চেয়ে, সাধারণ কাপড়ে সুন্দর আচরণ কয়েকগুণ বেশি প্রশংসা পায়। মনে রাখবেন, পোশাক আপনার ব্যক্তিত্বের সম্পূরক, পরিবর্তক নয়।
    • ট্রেন্ডের দাসত্ব নয়, নিজের স্টাইলের সার্বভৌমত্ব: ফ্যাশন ট্রেন্ড প্রতি সপ্তাহে বদলায়। সব ট্রেন্ড সবার জন্য নয়, সবার বাজেটের মধ্যেও নয়। কৌশল হলো, বর্তমান ট্রেন্ডের সারমর্ম বুঝে সেটাকে আপনার বাজেট এবং শরীরের গঠনের (বডি টাইপ) সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া। যেমন, এখন যদি ‘বাগি প্যান্ট’ ট্রেন্ড থাকে, তাহলে দামি ডিজাইনার ব্র্যান্ডের বদলে নিউমার্কেট বা মিরপুর বেনারশী পল্লীতে মিলবে সস্তায়, নিজের মাপ মতো সেলাই করিয়ে নিলেই হলো!

    কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার এই প্রথম ধাপটি মানসিক। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, ভুল ধারণাগুলো ঝেড়ে ফেলুন। স্টাইল মানে দাম দিয়ে কেনা ‘লুক’ নয়, বরং বুদ্ধি দিয়ে তৈরি করা ‘স্টেটমেন্ট’।

    ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোব গড়ে তুলুন: গুণে কম, কাজে বেশি!

    কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায় এর মূল ভিত্তিই হলো একটি চিন্তাভাবনা করে তৈরি করা ‘ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোব‘। এর মানে হলো অল্প কয়েকটি বহুমুখী, উচ্চমানের (কিন্তু অগত্যা দামি নয়!), পরস্পরের সাথে মিশতে পারে এমন পোশাকের আইটেম সংগ্রহ করা। লক্ষ্য হাজারটা আলাদা আলাদা আইটেম কেনা নয়, বরং সীমিত আইটেম দিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্টাইলিশ আউটফিট তৈরি করা।

    • ভিত্তি তৈরি করুন নিউট্রাল রঙের স্টেপল পিস দিয়ে: আপনার ওয়ার্ডরোবের ‘বেস’ হওয়া উচিত কালো, সাদা, নেভি ব্লু, বেইজ, খাকি বা ধূসর রঙের এমন আইটেম যা প্রায় সব কিছুর সাথেই যায়। যেমন:
      • একটি ভালো ফিটিং ডার্ক ওয়াশ জিন্স: (সব বডি টাইপের জন্য সুপারিশকৃত)
      • একটি কালো পেন্সিল স্কার্ট বা সুতির সালোয়ার: (অফিস-আনঅফিস দু’ক্ষেত্রেই কাজে লাগে)
      • একটি সাদা সুতি শার্ট: (ক্লাসিক, ফরমাল-ইনফরমাল সবখানে চলে)
      • একটি নীল বা কালো ব্লেজার/স্ট্রাকচার্ড জ্যাকেট: (যেকোনো সাধারণ আউটফিটকে মুহূর্তেই স্মার্ট করে তোলে)
      • একটি নিউট্রাল কালারের (কালো, বেইজ, খাকি) সুতি বা লিনেন প্যান্ট: (আরামদায়ক আর স্টাইলিশ)
      • সাধারণ কালারের (কালো, সাদা, ধূসর) টি-শার্ট/পোলো শার্ট: (উচ্চ মানের সুতি হলে ভালো, দীর্ঘস্থায়ী হয়)
    • স্টেটমেন্ট পিস যোগ করুন সাবধানে: এবার এই নিউট্রাল বেসের সাথে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করার জন্য কয়েকটি ‘স্টেটমেন্ট’ পিস যোগ করুন। এগুলো হতে পারে:
      • গাঢ় বা উজ্জ্বল রঙের টপ: যেমন: রক্তলাল, গাঢ় সবুজ, মেরুন, মস্তার্ড ইয়েলো, রয়্যাল ব্লু।
      • প্যাটার্নযুক্ত আইটেম: ডেনিম শার্ট, চেকার্ড শার্ট, ফ্লোরাল স্কার্ট, স্ট্রাইপড টপ – তবে একসাথে যেন খুব বেশি প্যাটার্ন না হয়।
      • টেক্সচার্ড আইটেম: কর্ডুরয় প্যান্ট, কনট্রাস্ট কলারের ব্লাউজ, লেইস বা এমব্রয়ডারি দেওয়া টপ।
      • অ্যাকসেসরিজ: এগুলোই ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোবের গোপন হাতিয়ার! (নিচের সেকশনে বিস্তারিত)
    • গুণগত মানের দিকে নজর দিন: কম খরচে মানে এই নয় যে নিম্নমানের কেনা। একটি ভালো ফিটিং, ভালো কাপড়ের (যেমন ১০০% সুতি, লিনেন, ভালো মানের ভিসকোস) তৈরি পোশাক, যত্ন নিলে বহু বছর টিকবে। বারবার সস্তা, নিম্নমানের পোশাক কেনার চেয়ে এটাই বেশি অর্থসাশ্রয়ী। নিউমার্কেট, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা, বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পাশের দোকান, বা খুলনার রূপসায় হস্তশিল্প মেলায় ভালো মানের সুতি ও হস্তচালিত কাপড়ের সন্ধান পাবেন।

    একটি ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোবের শক্তি তার বহুমুখীতায়। কালো জিন্স + সাদা শার্ট + ব্লেজার = ফরমাল লুক। সেই একই কালো জিন্স + রঙিন টি-শার্ট + ক্যানভাস শু = ক্যাজুয়াল আউটিং লুক। কালো প্যান্ট + স্টেটমেন্ট টপ + হেলস = সন্ধ্যার পার্টি লুক। মাত্র ১৫-২০ টি আইটেম দিয়ে আপনি সহজেই ৫০+ আলাদা আলাদা আউটফিট তৈরি করতে পারবেন – এটাই কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী কৌশল।

    মাস্টার দ্য আর্ট অফ মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ: পুরনোকে নতুন করে দেখুন!

    ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোব তৈরি করার পরের ধাপ হলো এর আইটেমগুলোকে নানাভাবে জোড়া লাগানোর কৌশল রপ্ত করা। এখানেই আপনার সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটবে!

    • রঙের খেলা: রঙের তত্ত্ব (Color Theory) বুঝুন। কম্প্লিমেন্টারি কালারস (যেমন: নীল-কমলা, লাল-সবুজ) সাহসী কম্বিনেশন দেয়। অ্যানালোগাস কালারস (যেমন: নীল, নীল-সবুজ, সবুজ) সুরেলা ও শান্ত প্রভাব ফেলে। নিউট্রাল + পপ অফ কালার (যেমন: খাকি প্যান্ট + রক্তলাল টপ) সবসময়ই কাজ করে। আপনার গায়ের রং (স্কিন টোন) কী – উষ্ণ নাকি শীতল – সেটার সাথে মানানসই রঙ বেছে নিন।
    • প্যাটার্ন মিক্সিং: প্যাটার্ন মেশানো শক্ত মনে হতে পারে, কিন্তু সহজ নিয়ম হলো:
      • বিভিন্ন স্কেলের প্যাটার্ন নিন: যেমন, বড় ফুলের স্কার্টের সাথে সূক্ষ্ম স্ট্রাইপের টপ।
      • নিউট্রালের সাথে প্যাটার্ন: একটি প্যাটার্নযুক্ত আইটেমের সাথে বাকিগুলো নিউট্রাল রাখুন।
      • একই কালার ফ্যামিলির প্যাটার্ন: নীলের বিভিন্ন শেডের চেক ও স্ট্রাইপ একসাথে মিশতে পারে।
    • লেয়ারিং: শীতকালে নয়, সারা বছরই লেয়ারিং করে স্টাইল তৈরি করা যায়! একটি সাধারণ টি-শার্টের উপর খোলা বোতামের শার্ট বা ডেনিম জ্যাকেট, স্কার্টের উপর লং কার্ডিগান, বা প্যান্টের নিচে রঙিন মোজা দেখান – এগুলো ডাইমেনশন যোগ করে। ঢাকার শীত তীব্র না হলেও পাতলা সুতির শাল বা স্কার্ফ দিয়েও লেয়ারিং করা যায়।
    • পুরনোকে নতুন রূপ দিন:
      • ট্রাউজার্স টু শর্টস/স্কার্ট: পুরনো জিন্স কেটে ডেনিম শর্টস বা স্কার্ট বানান।
      • শার্ট টু ড্রেস/টপ: পুরনো শার্টের হাতা কাটুন, কোমর বেল্ট দিন, বা সামনে টাই দিন।
      • ড্রেস টু টপ/স্কার্ট: লম্বা ড্রেসের উপরের অংশ আলাদা করে টপ হিসেবে, নিচের অংশ স্কার্ট হিসেবে ব্যবহার করুন। সিলেটের স্থানীয় বুটিক ‘পুনঃর্বাসন’-এ এ ধরনের আপসাইক্লিং সেবা দেয়।
      • অবজেক্ট ডাইং: সাদা টি-শার্ট বা শার্টে নতুন রঙ দিন! সহজেই নতুন আইটেম পেয়ে যাবেন।

    মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ মানে শুধু পোশাক নয়, পুরনো স্মৃতির সাথে নতুন সম্পর্ক গড়া। মায়ের দেওয়া শাড়ির বর্ডার কেটে ব্লাউজ বানানো, বাবার পুরনো ডেনিমের পকেট দিয়ে ব্যাগ তৈরি – এসবই তো স্টাইল!

    অ্যাকসেসরিজ: স্টাইলের জাদুকরী ছোঁয়া (জুয়েলারি নয়, বুদ্ধি!)

    একটি সাধারণ আউটফিটকে অসাধারণ করে তোলার জন্য অ্যাকসেসরিজ এর জুড়ি নেই। আর ভালো খবর হলো, অ্যাকসেসরিজই হলো কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায় এর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সাশ্রয়ী হাতিয়ার!

    • গহনা (জুয়েলারি): এখানে দামি সোনা-রূপার দরকার নেই।
      • হাতে: কাঠের বা মাটির চুড়ি (বগুড়া/রাজশাহীর কারুশিল্প), রঙিন কাচের ব্রেসলেট, পিতলের বালা, সুতার ব্রেসলেট, ঘড়ি (একটি ক্লাসিক লেদার স্ট্র্যাপ ঘড়ি অনেক কিছু বদলে দেয়!)।
      • গলায়: লম্বা চেইন, ছোট পেন্ডেন্ট, কাঠ-পাথরের মালা, সুতির দড়িতে ঝুলানো ছোট চার্ম, স্কার্ফকে নেকলেসের মতো পরা। ঢাকার দোয়েল চত্ত্বর বা চট্টগ্রামের জামালখানের ফুটপাথে পাবেন নানান অপশন।
      • কানে: বড় হুপস, ছোট স্টাডস, ঝুলন্ত ইয়াররিং – একজোড়া ইয়াররিং পুরো লুক বদলে দিতে পারে। জামালপুরের নকশিকাঁথা ইন্সপায়ার্ড ইয়াররিং অনন্য!
    • ব্যাগ ও ওয়ালেট: একটি সুন্দর ব্যাগ পুরো আউটফিটকে পূর্ণতা দেয়। বাজেটে পাওয়া যায়:
      • ক্যানভাস টোট ব্যাগ: টেকসই এবং স্টাইলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্রছাত্রীদের তৈরি ডিজাইনের ব্যাগগুলো খুব জনপ্রিয়।
      • জুট ব্যাগ: পরিবেশবান্ধব এবং ট্রেন্ডি।
      • ক্রসবডি ব্যাগ: হাতেকলমে কাজের জন্য সুবিধাজনক এবং স্মার্ট।
      • ক্লাচ: ছোট আউটিং বা পার্টির জন্য পারফেক্ট। পুরনো শাড়ির কাপড় দিয়ে নিজেই বানানো যায়!
    • বেল্ট: কেবল প্যান্ট আটকানোর জিনিস নয়! একটি সুন্দর বেল্ট (চামড়া, কাপড়, বা বোনা) আপনার ওয়েস্টলাইনকে হাইলাইট করে, আউটফিটে সংজ্ঞা আনে। একটি চওড়া বেল্ট ড্রেস বা টিউনিকের উপর দিয়ে পরলে ভিন্ন মাত্রা পায়।
    • স্কার্ফ/স্টোল/দুপাট্টা: সম্ভবত সবচেয়ে বহুমুখী অ্যাকসেসরি! গলায়, মাথায়, ব্যাগে, এমনকি কোমরেও বাঁধা যায়। টাঙ্গাইলের তাঁতের স্কার্ফ, নরসিংদীর জামদানি শিল্পের নকশাকাটা স্টোল – এগুলো শুধু অ্যাকসেসরি নয়, বাংলাদেশি ঐতিহ্যের প্রতীকও বটে। ঢাকার বঙ্গবাজার বা নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে পাবেন সুলভ মূল্যে।
    • চশমা: প্রেসক্রিপশন হোক বা সানগ্লাস, একটি ফ্রেম আপনার মুখের গঠনকে ফুটিয়ে তুলতে পারে। বোল্ড ফ্রেম স্টেটমেন্ট আইটেম।
    • মোজা: শীতকালে নয়, গরমেও! রঙিন বা প্যাটার্নযুক্ত মোজা প্যান্ট বা স্কার্টের নিচে দেখিয়ে ফানকি লুক দিতে পারেন।
    • পিন/ব্রোচ: একটি সুন্দর ব্রোচ জ্যাকেটের ল্যাপেলে, স্কার্ফে বা ব্যাগে দিলে চমৎকার শোভা পায়।

    মনে রাখবেন: অ্যাকসেসরিজে ভারসাম্য জরুরি। “লেস ইজ মোর” নীতিতে চলুন। খুব বেশি অ্যাকসেসরি একসাথে পরলে নজর কাড়বে না, বরং বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। দুই-তিনটি আইটেম বাছাই করুন যা পরস্পর এবং মূল আউটফিটের সাথে মিশে যায়।

    স্টাইলিশ চুল ও মেকআপ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেই তুলে ধরুন

    স্টাইলিশনেস শুধু পোশাকে সীমাবদ্ধ নয়। পরিপাটি চুল এবং পরিমিত মেকআপ আপনার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে। এখানেও কম খরচে চমৎকার ফল পাওয়া সম্ভব।

    • চুলের যত্ন ও স্টাইল:
      • ভালো স্বাস্থ্য: উজ্জ্বল, সুস্থ চুলই সবচেয়ে বড় অলংকার। নিয়মিত তেল মালিশ (নারকেল, আমলকী, ভিটামিন ই তেল), ভালো শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ঢাকার ফার্মগেটের খোলা বাজারে বা সিলেটের হাসন রাজার বাজারে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক চুলের তেলের মিশ্রণ।
      • সহজ স্টাইল: সবসময় স্যালনে গিয়ে স্টাইল করানোর দরকার নেই। বিনুনি (পিগটেল, ফ্রেঞ্চ ব্রেইড, ফিশটেল), মেসি বান (বাবল বান), হাফ-আপ-হাফ-ডাউন, বা একটি সুন্দর ক্লিপ দিয়ে আটকানো চুল খুবই স্টাইলিশ দেখায়। ইউটিউবে বাংলা টিউটোরিয়ালের অভাব নেই!
      • সুলভ অ্যাকসেসরিজ: রঙিন স্ক্রাঞ্জি, হেডব্যান্ড, ক্লিপ, ফুল – দামি হেয়ার এক্সটেনশনের চেয়ে অনেক বেশি প্রাকৃতিক ও আকর্ষণীয় দেখায়।
    • মেকআপ: লেস ইজ মোর:
      • ত্বকের যত্ন: পরিষ্কার, উজ্জ্বল ত্বকই সবচেয়ে সুন্দর মেকআপের ভিত্তি। পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাদ্য এবং একটি সহজ ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং রুটিন মেনে চলুন। দেশীয় উপাদান যেমন মুলতানি মাটি, দই, হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
      • বেসিকস: একটি ভালো এমবিবি ক্রিম (Moisturizer + BB Cream), মাশকারা, লিপ বাম বা হালকা রঙের লিপস্টিক/লিপগ্লস – এগুলো দিয়েই শুরু করুন। লক্ষ্য হওয়া উচিত আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উন্নত করা, আড়াল করা নয়।
      • একসেন্টুয়েট ওয়ান ফিচার: একসাথে সবকিছু নয়। হয় সুন্দরভাবে আঁকা চোখ (আইলাইনার/মাশকারা), নয়তো উজ্জ্বল ঠোঁট (বোল্ড লিপস্টিক)। বাকি মুখটা রাখুন ন্যাচারাল।
      • ডিআইওয়াই (DIY) হ্যাকস: বিটরুটের রস গালে রোজ হিসেবে, কফির খোসা স্ক্রাব হিসেবে, কোকো পাউডার আইব্রো ফিলার হিসেবে – ঘরোয়া উপায়েও মেকআপের কাজ চালানো যায়!

    আসল সৌন্দর্য আসে ভেতর থেকে। যখন আপনি সুস্থ, খুশি এবং আত্মবিশ্বাসী থাকেন, সেটাই আপনার চেহারায় ফুটে উঠবে – যা কোনো দামি মেকআপের পক্ষে সম্ভব নয়।

    শপিং স্মার্টলি: খুঁজে নিন লুকানো রত্ন!

    কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায় জানার জন্য শপিং করার পদ্ধতিতেও বুদ্ধি খাটাতে হবে। অন্ধভাবে শপিং মলে গিয়ে দামি জিনিস কেনা নয়, বরং সচেতন ও কৌশলী হয়ে কেনাকাটা করতে হবে।

    • থ্রিফটিং/নিলামের দোকান (Thrifting): এই জায়গাগুলোই কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার স্বর্গরাজ্য! ঢাকার নিউমার্কেটের উপরের তলার নিলামের দোকান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাবপুর রোডের দোকান, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা মার্কেট, খুলনার দৌলতপুর মার্কেট, রাজশাহীর বড়বাজার – এখানে অল্প টাকায় একেবারে ইউনিক, ভিনটেজ, এবং অনেক সময় উচ্চমানের ব্র্যান্ডেড পোশাকও মিলে যায়! ধৈর্য ধরে খুঁজতে হবে, কাপড়ের মান ও ফিটিং ভালোভাবে চেক করতে হবে। কাপড় ধোয়ার পরই পরবেন।
    • স্থানীয় বাজার ও হস্তশিল্প মেলা: শহরতলির বাজার (যেমন ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গাবতলী; চট্টগ্রামের ষোলশহর, খুলনার শিববাড়ি মার্কেট) এবং জেলায় জেলায় আয়োজিত হস্তশিল্প মেলায় (যেমন: ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মেলা, চট্টগ্রামের জেলা শিল্পকলা একাডেমির মেলা) স্থানীয় কারিগরদের হাতে তৈরি সুন্দর, সাশ্রয়ী এবং অনন্য ডিজাইনের পোশাক-অলংকার পাওয়া যায়। এগুলো কেনা শুধু সাশ্রয়ীই নয়, স্থানীয় শিল্পকে সমর্থন করারও সুযোগ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আয়োজিত মেলাগুলোতে দেশজুড়ে কারুশিল্পের সমাহার থাকে।
    • সিজনাল সেল ও ডিসকাউন্ট: শপিং মল বা ব্র্যান্ড আউটলেটগুলোতে ঋতু শেষ হওয়ার সময় (এন্ড অফ সিজন সেল), ঈদ বা পূজার ডিসকাউন্ট, বা ‘ক্লিয়ারেন্স সেল’-এ অনেক কম দামে ভালো মানের জিনিস কেনা যায়। আগে থেকে লিস্ট বানিয়ে, জিনিসের আসল দাম জেনে, শুধু প্রয়োজনীয় এবং বহুমুখী আইটেমগুলোই কিনুন।
    • সোয়াপ পার্টি: বন্ধু-বান্ধবী বা সহকর্মীদের সাথে ‘পোশাক বিনিময় পার্টি’ (Clothes Swap Party) আয়োজন করুন। আপনার অব্যবহৃত পোশাক বিনিময় করে পেয়ে যেতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত নতুন পোশাক – একদম ফ্রি!
    • অনলাইন মার্কেটপ্লেস: ফেসবুক গ্রুপ (যেমন: ‘Thrift Store BD’, ‘Preloved Designer Wear Bangladesh’), বা বাজার (BdMart, Pickaboo) ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে অন্যের ব্যবহৃত কিন্তু ভালো অবস্থার পোশাক-অলংকার কম দামে পাওয়া যায়। ক্রেতার রিভিউ ও রেটিং চেক করে কেনাকাটা করুন।

    স্মার্ট শপিং মানে তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করা। একটি টেকসই, বহুমুখী, উচ্চমানের আইটেম যা বহু বছর পরা যাবে, তা বারবার সস্তা জিনিস কেনার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ সাশ্রয়ী।

    যত্ন নিন, টেকসই হোন: টেকসই ফ্যাশন চর্চা

    কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার আরেকটি গোপন মন্ত্র হলো আপনার বিদ্যমান পোশাকের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া। যত্ন নিলে পোশাকের আয়ু বাড়ে, বারবার কেনার প্রয়োজন কমে।

    • সঠিক ধোয়া: কাপড়ের ট্যাগ দেখে ধোয়ার নির্দেশনা মেনে চলুন। রঙিন আর সাদা কাপড় আলাদা করুন। অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। সুতি, লিনেন সাধারণত গরম পানিতে, সিনথেটিক ঠান্ডা পানিতে ধুতে হবে। জিন্স উলটো করে ধুলে রং টিকে থাকে বেশি দিন।
    • শুকানো: সরাসরি তীব্র রোদে শুকানো রঙ ফ্যাকাশে করে দিতে পারে। ছায়ায় বা হালকা রোদে শুকান। সিনথেটিক কাপড়ের জন্য ড্রায়ারের তাপ কম রাখুন।
    • আয়রন/প্রেস: কাপড়ের ধরন বুঝে তাপমাত্রা সেট করুন। ভেজা কাপড়ে ইস্ত্রি করলে সহজে চকচকে হয় (স্টিম ব্যবহার করুন)। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ প্রেস করলে ঝরঝরে লাগে।
    • সঠিকভাবে সংরক্ষণ: কাপড় পুরোপুরি শুকিয়ে তারপর ক্যাবিনেটে রাখুন। মোথবল ব্যবহার করুন। ভারী পোশাক (সোয়েটার) ভাঁজ করে রাখুন, হ্যাঙ্গারে টাঙালে দুমড়ে যেতে পারে। চামড়াজাতীয় জিনিসপত্র ডাস্ট ব্যাগে রাখুন।
    • ছিঁড়ে গেলে বা বোতাম খুলে গেলে: ফেলে দেবেন না। ছোট ছোট সেলাই বা বোতাম লাগানো শিখুন। বড় সমস্যায় স্থানীয় দর্জির দোকানে ঠিক করিয়ে নিন। একটি ছোট সেলাই কিট বাড়িতে রাখুন।
    • টেকসই ফ্যাশন চিন্তা: ‘ফাস্ট ফ্যাশন’ (দ্রুত ট্রেন্ড বদলায় এমন সস্তা, নিম্নমানের পোশাক) পরিবেশ ও শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিকর। এর বদলে:
      • গুণগত মানের পোশাক কিনুন: যা বেশি দিন টিকবে।
      • থ্রিফট/সেকেন্ডহ্যান্ড বেছে নিন।
      • স্থানীয় ও নৈতিক ব্র্যান্ড সাপোর্ট করুন।
      • রিপেয়ার, রিইউজ, রিসাইক্ল করুন।

    একটি পোশাকের আয়ু বাড়ানো মানে শুধু টাকা সাশ্রয় নয়, পৃথিবীর জন্যও একটি দায়িত্বশীল পদক্ষেপ।

    জেনে রাখুন (FAQs)

    1. প্রশ্ন: কম খরচে স্টাইলিশ হতে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস কোনটি?
      উত্তর: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো একটি ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোব তৈরি করা। অর্থাৎ অল্প কয়েকটি নিউট্রাল রঙের, উচ্চমানের (কিন্তু দামি নয়), বহুমুখী বেসিক আইটেম (যেমন: কালো জিন্স, সাদা শার্ট, নীল ব্লেজার, বেইজ প্যান্ট) বাছাই করুন যেগুলো পরস্পরের সাথে সহজেই মিশে যায়। এরপর কয়েকটি স্টেটমেন্ট পিস (রঙিন টপ, প্যাটার্নযুক্ত স্কার্ট) এবং স্মার্ট অ্যাকসেসরিজ যোগ করে অসংখ্য ভিন্ন ভিন্ন আউটফিট তৈরি করুন। এতে প্রচুর পোশাক কেনার দরকার পড়ে না।
    2. প্রশ্ন: ঢাকায় বা বিভাগীয় শহরে সস্তায় স্টাইলিশ পোশাক কোথায় পাবো?
      উত্তর: ঢাকায় নিউমার্কেটের নিলামের দোকান, নবাবপুর রোডের দোকান, গাউছিয়া, মিরপুর-১, মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেট, ফার্মগেটের ফুটপাথ (নির্দিষ্ট দিন) উৎকৃষ্ট জায়গা। চট্টগ্রামে আন্দরকিল্লা মার্কেট, ষোলশহর মার্কেট; খুলনায় দৌলতপুর, শিববাড়ি; রাজশাহীতে বড়বাজার; সিলেটে জিন্দাবাজার, হাসন রাজা মার্কেটে ভালো দামে নানান অপশন মেলে। এছাড়া স্থানীয় হস্তশিল্প মেলা এবং ফেসবুকের ‘Thrift Store BD’ জাতীয় গ্রুপগুলোতেও ভালো ডিল পেতে পারেন।
    3. প্রশ্ন: অ্যাকসেসরিজ ছাড়া কি স্টাইলিশ হওয়া সম্ভব?
      উত্তর: অ্যাকসেসরিজ ছাড়া স্টাইলিশ হওয়া সম্ভব (আত্মবিশ্বাস ও ফিটিং ঠিক থাকলে), কিন্তু অ্যাকসেসরিজই একটি সাধারণ লুককে অসাধারণ করে তোলে এবং কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। একটি সুন্দর নেকলেস, ঝুলন্ত ইয়াররিং, রঙিন স্কার্ফ, বা একটি চমৎকার ব্যাগ পুরো আউটফিটের মাত্রা বদলে দেয়। সুলভ স্থানীয় হস্তশিল্পের অ্যাকসেসরিজ বেছে নিন।
    4. প্রশ্ন: পুরনো পোশাক দিয়ে নতুন স্টাইল কিভাবে বের করব?
      উত্তর: পুরনো পোশাককে নতুনভাবে ব্যবহার করার অনেক কৌশল আছে! মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ: পুরনো জিন্সের সাথে নতুন রঙের টপ, পুরনো শাড়ির ব্লাউজের সাথে ডেনিম। লেয়ারিং: টি-শার্টের উপর খোলা শার্ট/জ্যাকেট, স্কার্টের উপর কার্ডিগান। আপসাইক্লিং: পুরনো জিন্স কেটে শর্টস বা স্কার্ট বানানো, পুরনো শার্টের হাতা কাটা বা কোমরে বেল্ট বাঁধা, ড্রেসকে আলাদা করে টপ ও স্কার্ট বানানো। অবজেক্ট ডাইং: সাদা কাপড়ে নতুন রং করা। অ্যাকসেসরাইজ: পুরনো শাড়ির কাপড় দিয়ে স্কার্ফ, ক্লাচ বা হেয়ার ব্যান্ড বানানো।
    5. প্রশ্ন: বাজেটে স্টাইলিশ হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা কোনটি?
      উত্তর: সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা হলো “স্টাইল মানেই দামি ব্র্যান্ড বা বিপুল অর্থ ব্যয়“। বাস্তবে, স্টাইল হল আপনার ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ। দামি পোশাক আপনার ব্যক্তিত্ব তৈরি করে না, বরং আপনার ব্যক্তিত্বই যে কোনো পোশাককে বিশেষ করে তোলে। বুদ্ধি খাটিয়ে, নিজের গুণাবলি চিনে, সঠিকভাবে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে এবং সুলভ অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করেই আসল স্টাইল ফেলা যায়।
    6. প্রশ্ন: টেকসই ফ্যাশন বলতে কি বুঝায়? এটা কিভাবে কম খরচে স্টাইলিশ হতে সাহায্য করে?
      উত্তর: টেকসই ফ্যাশন (Sustainable Fashion) বলতে পরিবেশ ও সমাজের ক্ষতি কম করে এমনভাবে পোশাক উৎপাদন, কেনা, ব্যবহার ও ফেলাকে বোঝায়। এটি কম খরচে স্টাইলিশ হতে সাহায্য করে কারণ: (১) গুণগত মানের পোশাক কেনা: যা বহু বছর ব্যবহার করা যায়, বারবার কেনার দরকার পড়ে না। (২) থ্রিফটিং/সেকেন্ডহ্যান্ড কেনা: সস্তায় ইউনিক আইটেম মেলে। (৩) পোশাকের ভালো যত্ন নেওয়া: আয়ু বাড়ে। (৪) রিপেয়ার, রিইউজ, আপসাইক্ল: পুরনোকে নতুন রূপ দেওয়া। (৫) স্থানীয় ও নৈতিক ব্র্যান্ড চয়েস: দীর্ঘমেয়াদে ভালো মানের পায়। এটি অর্থ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উভয়ই।

    বিঃদ্রঃ এই নিবন্ধে উল্লিখিত স্থান ও দোকানসমূহের অবস্থান ও মূল্য পরিবর্তনশীল। শপিংয়ের আগে নিজ দায়িত্বে জায়গাটি ভিজিট করে নিন। হস্তশিল্প পণ্য কেনার সময় ন্যায্য মূল্য দিয়ে স্থানীয় কারিগরদের উৎসাহিত করুন।

    স্টাইল কখনোই দাম ট্যাগের দাস নয়; স্টাইল হল সেই সাহস, যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে প্রকাশ করেন। কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায় শুধু কিছু টিপস নয়, এটি একটি জীবনদর্শন – বুদ্ধি দিয়ে বেছে নেওয়া, সৃজনশীলভাবে মেলানোর, এবং নিজের ভেতরের সৌন্দর্যকে বিশ্বাস করার। আপনার ওয়ার্ডরোব যতই ছোট হোক না কেন, আপনার ব্যক্তিত্বই আপনার সবচেয়ে দামি অ্যাকসেসরি। ঢাকার ব্যস্ত রাস্তা হোক, বা গ্রামের শান্ত পথ, চট্টগ্রামের পাহাড় কিংবা খুলনার নদী – আপনার স্বতন্ত্রতা দিয়েই ছাপ রাখুন। আজই শুরু করুন – পুরনো পোশাকের দিকে নতুন চোখে তাকান, স্থানীয় বাজারে খুঁজে নিন সেই হারিয়ে যাওয়া রত্ন, আর নিজেকে উপস্থাপনের জন্য তৈরি হোন। কারণ, আসল স্টাইল কিনে নেওয়া যায় না, একে তৈরি করে নিতে হয় নিজেরই হাতে। আপনার স্টাইল যাত্রায় শুভকামনা!

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    budget friendly style bangla capsule wardrobe tips stylish on a budget sustainable fashion Bangladesh thrifting in dhaka আপসাইক্লিং পোশাক উপায়:সহজ কম কম খরচে স্টাইলিশ হওয়ার উপায় ক্যাপসুল ওয়ার্ডরোব খরচে টিপস টেকসই ফ্যাশন থ্রিফট শপিং বাংলাদেশ নিলামের দোকান ঢাকা বডি টাইপ অনুযায়ী স্টাইল বাজেট ফ্রেন্ডলি স্টাইল বাংলাদেশি স্থানীয় বাজার মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ লাইফস্টাইল সাশ্রয়ী ফ্যাশন টিপস সুলভ জুয়েলারি স্টাইলিশ স্টাইলিশ অ্যাকসেসরিজ হওয়ার, হস্তশিল্প ফ্যাশন
    Related Posts
    স্বামী–স্ত্রীর চেহারা

    বেশিরভাগ স্বামী–স্ত্রীর চেহারা ভাই-বোনের মতো লাগে কেন

    August 1, 2025
    ফিটনেস মিল্কশেক

    ফিটনেস মিল্কশেক: দ্রুত পুষ্টি ও শক্তির সেরা উপায়, ব্যায়ামীদের জন্য গাইড

    August 1, 2025
    nid

    যাদের এখনো মেসেজ আসেনি, এখনি বের করুন আপনার NID কার্ড!

    August 1, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Police

    আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই : পুলিশ

    Joyshonkor

    বাংলাদেশের ওপর নিবিড় নজর রাখছি : জয়শঙ্কর

    Natore

    নৌকায় ডিজে পার্টির প্রস্তুতি, আটক ৫৭ কিশোর

    Benzir

    বেনজীরের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    NID SIM check

    আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, জানবেন যেভাবে

    shah-rukh-khan

    জীবনে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেলেন শাহরুখ

    Saiyaara

    ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ আয়কারী প্রেমের গল্প ‘সাইয়ারা’

    কিং খান

    প্রথমবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছে কিং খান

    অভিনেত্রী গ্রেফতার

    ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেফতার, বেরিয়ে এলো রহস্যময় তথ্য

    Tran

    ছাত্রদলের সমাবেশে অংশ নিতে বিশেষ ট্রেন

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.