স্পোর্টস ডেস্ক: রবিবার রাতে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর সৃষ্টি হলো বার্সেলোনার লজ্জার ইতিহাস। ১২৩ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি, এবার সে লজ্জারই মুখোমুখি হলো স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। একই মৌসুমে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে টানা তিন ম্যাচে হারলো তারা।
রবিবার রাতে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর সৃষ্টি হলো লজ্জার এই ইতিহাস। এর আগে ক্যাডিজের কাছে ১-০ গোলে এবং ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে জার্মান ক্লাব ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল তারা। যে হারে ইউরোপা লিগের সেমিতে ওঠার আগেই বিদায় নিতে হয় বার্সেলোনাকে।
তবে সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচে হারলো বার্সা। মাঝে রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে খেলতে গিয়েও ১-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা।
রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে খেলতে নেমে সপ্তম মিনিটেই গোল হজম করে বসে বার্সেলোনা। আলভারো গার্সিয়ার একমাত্র গোলই শোধ করতে পারেনি বার্সা। পুরো ম্যাচে তারা আক্রমণ গুছিয়ে উঠতে ব্যর্থ হলো। যার ফলে ম্যাচ শেষ হলো তাদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে।
৯০তম মিনিটে গাভির একটি জোরালো পেনাল্টির আবেদন বাতিল করে দেন রেফারি। এ ছাড়া উল্লেখ করার মত গোলের চেষ্টা বার্সার পক্ষ থেকে দেখা যায়নি।
এই পরাজয়ের পরও লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা। ৩৩ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৬৩। সমান সংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট সেভিয়ারও। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তারা রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
এর আগে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনা টানা তিন ম্যাচ হেরেছিল ১৯৯৮ সালে। তবে সেই তিন পরাজয় দুই মৌসুমে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এবারের পরাজয়গুলো এক মৌসুমেই ঘটলো।
১১তম স্থানে থাকা রায়ো ভায়োকানো এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে একটি গৌরবও অর্জন করে নিলো এবার। এই মৌসুমেই দু’বার তথা দুই লিগ ম্যাচে তারা বার্সাকে হারাতে সক্ষম হলো। এর আগে গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে বার্সাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তারা।
এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে স্পর্শ করার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেলো বার্সেলোনার। আগামী শনিবার এস্পানিওলের সঙ্গে জয় কিংবা ড্র’ই রিয়ালের লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করে দেবে।
ম্যাচের পর বার্সা কোচ জাভি বলেন, ‘আমার খুব রাগ হচ্ছে, খুবই বিরক্ত, সে সঙ্গে হতাশও। আজকে আমাদের সামনে একটি সোনালি সুযোগ ছিল গ্যাপ পূরণ করার। কিন্তু ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং ক্যাডিজের ম্যাচের পূনরাবৃত্তিই হলো। আমরা কোনোভাবেই ক্লিনিক্যাল হতে পারছি না। আমি মনে করি, অন্তত ড্র করার জন্য হলেও আমাদের আরও চেষ্টা করা প্রয়োজন ছিল।’
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সুযোগ পেয়েই সেটি কাজে লাগিয়ে দিলেন গার্সিয়া। বক্সের মধ্যে বল পেয়েই আলতো টোকায় গোলরক্ষক মার্ক অ্যান্ডার টের স্টেগানের মাথার ওপর দিয়ে বার্সার জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই ন্যু ক্যাম্পের দিকে তাকিয়ে হুইসেল বাজানোর ভঙ্গিতে গোল উদযাপন করেন তিনি।
বার্সা অনেকগুলো দারুণ সুযোগ পেয়েছিল গোল শোধ করার। এমনকি দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হওয়ার পর রেফারি অতিরিক্ত ১৪ মিনিট খেলিয়েছেন। তাতেও কোনো গোল আদায় করতে পারেনি বার্সা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।