আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া এক রোগীর মরদেহ হস্তান্তরে বিলম্বের ঘটনায় পাকিস্তানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার করাচির ডা. রুথ ফাফু সিভিল হাসপাতালে এ গণসহিংসতার ঘটনা ঘটে। খবর ডন নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় এক রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চিকিৎসকরা রোগীকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেছিলেন। তার করোনার একটি পরীক্ষাও করা হয়েছিল, যা পজিটিভ হয়।
তারা জানান, তবে মৃত রোগীর স্বজনরা পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে ‘সাধারণ’ হলেও তাকে পজিটিভ বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা।
কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৭০ জন লোক (স্থানীয় সময়) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে হামলা চালায়। তারা সহিংসতার আশ্রয় নিয়ে জোর করে মরদেহটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে প্রবেশস্থানের ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক লোক হাসপাতালের চত্বর থেকে স্ট্রেচারের মতো সরঞ্জামগুলো সরিয়ে দিচ্ছে। তারা সেখানে স্থাপিত স্যানিটাইজার গেটটি ভেঙে ফেলছে।
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. খাদিম হুসেন কুরেশি গণমাধ্যমকে জানান, ভাইরাসে মারা যাওয়া মানুষের মৃতদেহের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) অনুসরণ করছিলেন চিকিৎসকরা।
তিনি বলেন, আমরা সরকারি কর্মচারী। আমরা কেবল সরকার যা বলে তা অনুসরণ করি।
তিনি আরও জানান, হার্টের সমস্যা নিয়ে রোগীটি হাসপাতালে এসেছিলেন।চিকিৎসকরা তাকে করোনভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন। তারা একটি পরীক্ষাও (টেস্ট) করেছিলেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।