বিনোদন ডেস্ক : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পাশ্চাত্য দুনিয়ার সিনেমাহলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। আর এ আতঙ্কবাজ কোভিড-১৯ মহামারীর এ সময়ে হলিউডে সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় ১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে ক্রিস্টোফার নোলানের ছবি টেনেট।
২৬ আগস্ট যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাওয়া এ ছবি কানাডাসহ ৪১টি আন্তর্জাতিক বাজারে মোট আশাতীত সাফল্য অর্জন করেছে। এরই মধ্যে ছবিটি ৫৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছে।
ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ছবি মুক্তির বাজার সীমিত করা সত্ত্বেও ছবিটি যুক্তরাজ্যে ৭.১ মিলিয়ন, ফ্রান্সে ৫.৭ মিলিয়ন ও জার্মানিতে ৪.২ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। সপ্তাহ শেষে বাকি ৩৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কয়েকটি বাজার থেকে। এখনও হলিউডের বাজার তো বাকিই। সেখানে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আজ।
ছবির পরিচালক ক্রিস্টোফার বলেন, ‘এরই মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে আসা রিভিউগুলো আমাদের হলিউডের বাজার ধরতে ভীষণভাবে সহায়তা করবে।’ সে হিসেবে এটির ব্যবসা ২০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
কারণ নিউইয়র্ক আর লস অ্যাঞ্জেলেসে ওয়ার্নার ব্রসের ছবিগুলোর বিশেষ বাজার রয়েছে। কোম্পানির চেয়ারম্যান টবি এমেরিক বলেন, ‘ক্রিস্টোফার এ মহামারীর সময়ে যে ছবিটি উপহার দিলেন, আমি মনে করি, বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক এটি দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবে না।’ মজার ব্যাপার হচ্ছে মিশন ইম্পসিবল-৭ ছবির শুটিং চলছে লন্ডনে। সঙ্গত কারণেই টম ক্রুজ সেখানে আছেন। আর তিনিও ছবিটি হলে গিয়ে দেখেছেন আর তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তার ভক্তদের।
টেনেটের গল্প পরিচালকেরই। এটি একটি অ্যাকশন থ্রিলার ছবি। এর মধ্যে গুপ্তচরবৃত্তি, স্মাগলিংজাতীয় রসদ থাকলেও ছবির গল্পের প্রেক্ষাপটে রয়েছে নতুনত্ব। গল্পকার পাক্কা পাঁচ বছর সময় নিয়েছেন এর গল্প দাঁড় করাতে। আর ছবির মূল বক্তব্য তৈরি হয়েছিল দশ বছর আগে।
২০১৯ সালের মার্চে সম্পন্ন হয় শিল্পী নির্বাচন। আর ছবিটির শুটিং হয়েছিল ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ভারত, ইতালি, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে। এতে অভিনয় করেছেন- জন ডেভিড ওয়াশিংটন, রবার্ট প্যাটিসন, এলিজাবেথ দেবিকি, মাইকেল কেইন, মার্টিন ডোনোভ্যান, ফিওনা ডওরিফ ও হিমেশ প্যাটেল প্রমুখ। ছবির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া। আর এ ছবি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
ছবির গল্পে সিআইএ’র একজন প্রতিনিধি একটি সোয়াত অপারেশনে গেছেন ইউক্রেইনের অপেরা হাউসে। সেখানে আটকে পড়া তাদের এক গুপ্তচরকে উদ্ধার করতে হবে। গুলি খাওয়ার আগে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রতিপক্ষের প্রধানকে আটক করা হয়েছে।
ধরা পড়ার আগে লোকটি সায়ানাইড ট্যাবলেট গিলে ফেলেছিল। পরে ঘুম থেকে জেগে লোকটি বুঝতে পারল, ওটি ছিল নকল সায়ানাইড। চারপাশে তাকিয়ে দেখল, তার সঙ্গীরা সবাই মারা পড়েছে। তারা একটি মিশন নিয়ে দল গঠন করেছিল এবং এ দলের নাম টেনেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।