জুমবাংলা ডেস্ক: করোনাকালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের টিকা প্রদান, ভাতা বৃদ্ধি, সুরক্ষা উপকরণ ও ওষুধ সহজলভ্য করা, পুঁজি ও চাকরি হারানো ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া, কর মওকুফ এবং ফিজিও থেরাপিস্টদের জরুরি সেবার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ডিজএবলড রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্চ এসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) কর্তৃক আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এই দাবি জানানো হয়।
জুম প্ল্যাটফর্মে ‘কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরে অবস্থা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরমা দত্ত, বরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, শবনম জাহান ও কাজী কানিজ সুলতানা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডিআরআরএ’র নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন দেশের ১৮ থেকে ২২ লাখ প্রতিবন্ধী ও তাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
পরে আনিলা, সালমা মাহবুব, আশরাফুন্নাহার মিষ্টি ও উজ্জ্বল হোসেনসহ ডিজএবল পিপলস অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা তুলে ধরেন তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা।
তারা জানান, করোনাকালীন দুর্যোগ তারেকেও রেহাই দেয়নি। তবে ডিজএবল হওয়ার পরেও অন্যান্য অনেকের মতো সুরক্ষা অ্যাপে কোনো শ্রেণিতেই টিকার জন্য রাখা হয়নি তাদের। অনেককেই থেরাপিস্টের কাছে যেতে হয়। লকডাউনে যা বন্ধ থাকে। এ বিষয়টিও জরুরি সেবার আওতায় আনা হয়নি। দীর্ঘ করোনাকালীন সময়ে সুরক্ষা উপকরণ ও ওষুধের দামও বেড়েছে।
আলোচনায় প্রতিদিন ২৫ টাকা হিসেবে মাসে ৭৫০ টাকা সুরক্ষা ভাতার বিষয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেন সুবর্ণ নাগরিকরা। এত অপ্রতুল ভাতায় এই সময়ে একজন প্রতিবন্ধীর আসলে কী হয় এমন প্রশ্নও তোলেন তারা। এ অবস্থায়, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে উল্লেখ করে ধীরে ধীরে সবই ঠিক হয়ে আসবে বলে আশ্বস্ত করেন আরমা দত্তসহ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসীয় স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরা।
উপস্থিত মন্ত্রী-সাংসদসহ বিশিষ্টজনেরা উদ্যোগ নিয়ে বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করলে তিনি অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন ওয়েবিনারের সঞ্চালক শ্যামল দত্ত।
এ সময়, সুবর্ণ নাগরিক বা প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম উদ্যোগ নেন দাবি করে এ নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি; রাতারাতিই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে সবই ঠিক হয়ে আসবে।’
বিভিন্ন খাতে সরকার ১ কোটি ৮ লাখ মানুষকে ভাতা দিচ্ছে- উল্লেখ ক’রে, ভাতা বাড়ানোসহ প্রতিবন্ধীরে উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ করে করোনার এই সময়টিতে প্রতিবন্ধীদের সমস্যার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



