জুমবাংলা ডেস্ক : এতে সরকারের অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হবে, যা করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকাবেলায় ব্যয় করা যাবে
আগামী বাজেটে সিগারেটের বিদ্যমান মূল্যস্তর চারস্তর থেকে কমিয়ে দুইস্তরে নির্ধারণ করাসহ নতুন মূল্য নির্ধারণ ও তামাক পণ্যের সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করেছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিড়িয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)। এতে সরকারের অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হবে, যা করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকাবেলায় ব্যয় করা যাবে।
রবিবার (২৯ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও দাম বৃদ্ধি বিষয়ক লিখিত বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছে সংগঠনটি। করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বাজেট প্রস্তাব ইমেইলের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়।
জাতীয় বাজেটে তামাকপণ্যে করারোপের বিষয়ে সংগঠনের প্রস্তাবে বলা হয়, বিদ্যমান ৩৭ ও ৬৩ টাকা এই দুইটি মূল্যস্তরকে একত্রিত করে নিন্মস্তরে নিয়ে আসা এবং নিন্মস্তরে ১০ শলাকা সিগারটের খুচরা মূল্য ন্যুনতম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
এছাড়া ৯৩ ও ১২৩ টাকা এই দুই মূল্যস্তরকে একত্রিত করে প্রিমিয়াম স্তরে নিয়ে আসা, প্রিমিয়াম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যুনতম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিড়ির ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার মূল্য বিভাজন তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। এই প্রস্তাবে বলা হয়, ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৬ দশমিক ৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। অন্যদিকে, ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ৫ দশমিক ৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া, আগামী বাজেটে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৩ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে আত্মা। সংগঠনটি প্রতি ১০ গ্রাম জর্দা ও গুলের উপর যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭১ টাকা এবং ৩ দশমিক ৪৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে বলেছে।
আত্মার দাবি, দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীদের মাঝে এই পণ্য ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তাই এই বিশাল জনগোষ্ঠিকে জর্দা-গুল ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
এর পাশাপাশি তামাক বিরোধী এই সংগঠনটি সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রাখার প্রস্তাব করেছে। তারা বলছে, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৬ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ হবে এবং ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে, যা সরকার করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করতে পারবে। সূত্র : ঢাকা ট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।