নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ধাক্কা এপ্রিলে ব্যাপকভাবে আসতে পারে বলে ধারনা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ১০টায় গণভবন থেকে শুরু হওয়া ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দুঃসময় আসছে। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে হানা দিতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেছেন, ‘এটা সব জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি। তাই কারো মধ্যে যদি এতটুকু করোনাভাইরাসের অসুস্থতা দেখা দেয়; তিনি সঙ্গে সঙ্গে যথাস্থানে খবর দেবেন। তার চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে রেখেছি। আর যারা চিকিৎসা সেবা দেবেন তাদের জন্য পিপিইসহ সবধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা আছে। সেগুলো সব জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ লুকাতে যাবেন না। একজন লুকাবেন আরো দশজনকে সংক্রমিত হবে। আর এটা (করোনায় আক্রান্ত হওয়া) লজ্জার কিছু নয়। কেউ কেউ আছেন, এমন মনে করছেন যে অসুখ হলেই অছ্যুত হয়ে গেল, তাকে ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না। তার সঙ্গে দেখা করা যাবে না; এটা কিন্তু না। কাজেই এই মানসিকতাটা পরিহার করতে হবে। এখানে মানবিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ রোগ কার কখন হচ্ছে কেউ বলতে পারে না। আজকে একজন ঘৃণার চোখে দেখবেন, কালকে তিনিও সংক্রমিত হতে পারেন। অনেকেই লক্ষণ প্রকাশ পেলেও বলতে লজ্জা পাচ্ছেন। কারণ তিনি মনে করছেন, অন্যেরা মনে হয় তাকে অবহেরা করবে, করুণার চোখে দেখবে। এই মানসিকতাটা সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যান্য দেশে ব্যাপকভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। আমরা জানুয়ারি মাস থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি বলে আমাদের দেশে সেরকম সংক্রমণ হয়নি। যে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে সেটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারো মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ দেখা যায় সাথে টেস্ট করবেন। কেউ লুকাতে যাবেন না। লুকালে আরও দশজনকে সংক্রমিত করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নত দেশসমূহ এই ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আমাদের দেশেও বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। তবে আমাদের দেশে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সংখ্যা বেশি।’
প্রধানমন্ত্রী এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা.মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে দেশে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৫ জনকে সংক্রমিত হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ১২ জনের প্রাণহানী ঘটেছে।’
ফ্লোরা আরো বলেন, ‘আরো ৩৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ৬৪ জন, ২৩ জন নারায়ণগঞ্জে,১১ জন মাদারিপুরে এবং ৫ জন গাইবান্ধার বাসিন্দা রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।