আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সংক্রমণ বাড়ছে ক্রমাগত৷ টোকিও অলিম্পিক আয়োজকেরাও গেমসে সংক্রমণের সর্বোচ্চ বৃদ্ধির কথা জানিয়ে উদ্বিগ্ন৷ খবর ডয়চে ভেলের।
থাই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, দেশে বৃহস্পতিবার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ এবং মারা গেছেন ১৬৫ জন৷
মহামারির সময়ের মধ্যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে থাইল্যান্ডে করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ রূপ নিয়েছে৷ ডেল্টা ভাইরাসের বিস্তারই এর মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷
দেশটিতে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ৩০ জন এবং তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট চার হাজার ৫৬২ জন৷
সংক্রমণের এই উর্ধ্বগতির কারণে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং সীমান্তের বেশ কয়েকটি প্রদেশে লকডাউন দেয়া হয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এক বার্তায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষদের ঘরবন্দি থাকতে এবং জনসমাবেশে যেতে নিষেধ করেন৷
ফেসবুকে পোস্ট করা আদেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ রোধ করতেই এই সাময়িক লকডাউন দেয়া হয়েছে৷ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর রাখারও অনুরোধ করেন তিনি সবাইকে৷
এশিয়া প্যাসিফিক
টোকিও গেমসের সাথে যুক্ত এমন ২৪ টি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানিয়েছেন অলিম্পিক আয়োজকেরা৷
জাপানের শীর্ষ মেডিকেল উপদেষ্টা শিগেরু ওমি থাইল্যান্ডের ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে করোনার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ, শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারকে৷
দেশের জনগণ করোনার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন নয় এবং সেটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন সংসদ প্যানেলে শীর্ষ মেডিকেল এ্যাডভাইজার শিগেরু ওমি৷ টোকিওতে বুধবার দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড তিন হাজার ১৭৭ এ পোঁছানোর পরেই তিনি এই মন্তব্য করেন৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।