আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত নারীরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। এসব নারীদের সরবরাহ করা হচ্ছে বেখাপ্পা রকমের সুরক্ষা পোশাক, সুরক্ষার দোহাইয়ে বাধ্য করা হচ্ছে মাথা ন্যাড়া করতে এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের পরিবর্তে পিরিয়ড বিলম্বিত করতে দেওয়া হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি।
নারী চিকিৎসাকর্মীদের এই নিপীড়নের চিত্রটি সবচেয়ে প্রকট করোনাভাইরাসের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশে। সাংহাইয়ের বাসিন্দা জিয়াং জিনজিং চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই বিষয়টি প্রথম সামনে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালে সুরক্ষা পোশাক সংরক্ষণে নারীরা টয়লেটে যাচ্ছেন না জানার পর তিনি উইবোতে প্রশ্ন করেন, পিরিয়ড চলাকালে তারা কীভাবে কাজ করছেন।
জিয়াং জিনজিং বলেন, ‘অনেক নারী চিকিৎসাকর্মী তাদের পাঠানো বার্তায় জানিয়েছেন, পিরিয়ডের কারণে তাদেরকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সারাদিন সুরক্ষা পোশাক পরে তারা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া কিংবা পানীয় পান করতে পারছেন না, স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো আরো পরের বিষয়।’
হুবেই প্রদেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিতদের ৭৯ শতাংশ নারীকর্মী সাংহাই ইউনিভার্সিটির একটি হাসপাতালের। এই ‘নারী কর্মীদের পিরিয়ড বিলম্বিত করতে’ ২০০ বোতল জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সরবরাহ করেছে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সমালোচনার মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানিয়েছে, নারীরা স্বেচ্ছায় এই ওষুধ গ্রহণ করেছে।
এর জবাবে উইবোতে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,‘স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের পরিবর্তে আপনারা এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করেছেন!’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সুরক্ষার দোহাই দিয়ে নারীদের মাথাও ন্যাড়া করা হয়েছে। অনেকে অবশ্য দাবি করেছেন, নারীরা স্বেচ্ছায় নিজেদের চুল কামিয়েছেন।
সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভিতে এক নারী চিকিৎসা কর্মীকে বেখাপ্পা রকমের ঢোলাঢালা সুরক্ষা পোশাক পরা অবস্থায় দেখা গেছে। সংবাদমাধ্যটি একে ‘আকর্ষণীয়’ বলে দাবি করেছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, বোঝা যাচ্ছে নারীকর্মীদের বেখাপ্পা পোশাক পরতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



