আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ঘোষণা করেছেন যে তিনি এই বছর কোনও হোলির অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না, যেহেতু বিশেষজ্ঞরা ‘মরণঘাতি এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের ভীড় এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন তাই’।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইট করেছেন- ‘বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা সিওভিআইডি-১৯ নোবেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জনসমাগমকে কম করার পরামর্শ দিয়েছেন। অতএব, এই বছর আমি কোনও হোলি উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
মঙ্গলবার মোদীর সর্বশেষ টুইটটিতে বলেছিলেন তিনি ‘সিওভিআইডি-১৯ নোবেল করোনা ভাইরাস মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছেন’ এবং ‘এতে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই’।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে জানিয়েছেন, তিনি এই বছর কোনও হোলি উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি পৃথক টুইট বার্তায় বলেছেন ‘হোলি আমাদের ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব তবে করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বছর কোনও হোলি মিলন উদযাপনে অংশ নেব না। অমিত শাহ সকলকে জনসমাবেশ এড়ানোর এবং তাদের পরিবারের প্রতি ভাল যতœ নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গত তিন দিনে দেশে ২৮জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২১ ইতালীয় নাগরিকের মধ্যে ১৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের চাওলার ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) কোারান্টাইন সুবিধাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন ভারত এখন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব দেশের যাত্রীদের স্ক্রিনিং করবে। তিনি বলেন, আমাদের আগের তালিকাভুক্ত ১২টি দেশ নয়, এখন থেকে সব ফ্লাইট এবং সব যাত্রী সর্বজনীন স্ক্রিনিংয়ের আওতায় থাকবে।
দেশটিতে নতুন করে নিশ্চিত হওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবরের প্রেক্ষিতে প্রাক-সতর্কতার অংশ হিসেবে, ভারতীয় নৌবাহিনী তার সর্বকালের বৃহত্তম বহুজাতিক যুদ্ধের মহড়া উৎসব- ২০২০ স্থগিত করেছে। ১৮ মার্চ দেশের অন্ধ্র প্রদেশের বিসাকাপাটনামে এই অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। অনুশীলনের জন্য ৪১টি দেশের নাবিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং ৩০ টিরও বেশি তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল।
এর আগে, ভারত সরকার মঙ্গলবার বা তার আগে ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাগরিকদের দেওয়া নিয়মিত এবং ই-ভিসা স্থগিত করেছিল।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে শুরু হয়েছিল এবং তখন থেকে ৬০ টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ৩,০০০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং সারাবিশ্বে ৯০,০০০ মানুষ সংক্রামিত হয়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।