জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা মুক্ত হয়েই নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। দীর্ঘ ২৪ দিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সময়কালে বিশ্রাম নেওয়ার কথা থাকলেও নড়াইলে এসে তিনি একবিন্দুও বসে নেই। সবসময় নড়াইলের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মল্লিকপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙন হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আজ হঠাৎ করেই সেইসকল স্থানে সশরীরে উপস্থিত তিনি। নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মহিষাপাড়া ও করফা-আতশপাড়া এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় ভাঙন চলছে। গত কয়েক বছরে বহু বসতবাড়ি, ফসলি জমি, লোহাগড়া-ইতনা সংযোগ সড়কের নদী তীরবর্তী অংশ, মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ,বাজার, দোকান-পাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্ষাকালে মঙ্গলহাটা, করফা, মহিশাপাড়া গ্রামের মানুষের স্বপ্নগুলো ডুবিয়ে নেয় মধুমতির তীব্র স্রোত।
এসময় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল সেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র, মল্লিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান,জেলা পরিষদ সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মুন্নাসহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন সংসদ সদস্য। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার নির্বাচনী এলাকার নদী ভাঙন সমস্যা সমাধানে তিনি কাজ করছেন। এমনকি মহিশাপাড়া ও করফা-আতশপাড়া পয়েন্টে দ্রুতগতিতে আপদকালীন কাজ ও স্থায়ী ভাঙন রোধী কাজ শুরু করার কথা জানান। এসময় উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল সেন সরেজমিনে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করার তথ্য সংগ্রহ করেন। এছাড়া,সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লোহাগড়ার আমডাঙ্গা, মাকড়াইলসহ উপজেলার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে দ্রুত গতিতে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাজ শুরু করার কথা জানান।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশের তীব্র ভাঙন কবলিত জেলার তালিকায় খুলনা বিভাগে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও কুষ্টিয়ার নাম থাকলেও সবচেয়ে বেশি ভাঙন হলেও নড়াইল জেলার নাম ছিল না। সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় গতবছর নড়াইল জেলার নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে এটি নড়াইলের মানুষের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি,যার ফলে ভাঙন রোধে নড়াইলে টেকসই কাজ হওয়া এখন শুরু হবে।
এসময় মাশরাফি মহিশাপাড়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তিনটি বৃক্ষরোপণ করেন। মহিশাপাড়া থেকে করফা ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রয়াত বাবুর সন্তানহারা মায়ের সাথে দেখা করেন মানবিক সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি। লোহাগড়া উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামে বাবুর বাসভবনে তার মায়ের সাথে আলাপকালে ঈদে শাড়ি কেনার জন্য মাকে উপহার দেন মাশরাফি। বাবু বেঁচে থাকলে হয়তো মাকে ঈদের শাড়ি আর বোনকে ঈদের জামা উপহার দিতেন। সন্তানহারা মায়ের সেই অভাববোধ উপলব্ধি করতে দিলেন না মাশরাফি। এসময় তিনি বাবুর মাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে একটি সরকারি ঘর করে দেওয়ার কথা বলেন এ বাবুর বোনের পড়াশোনার খোঁজখবর নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র, মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মীম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রকিবুজ্জামান পলাশ,লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্সী জোসেফ হোসেন,সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।