
জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রোগটির উপসর্গ নিয়ে সারাদেশে ১৭২ জন মারা গেল।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের এক শিশু গায়ে জ্বর নিয়ে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সোনারগাঁও পেট্রোল পাম্পের পশ্চিমে হাসানের ভাড়াটিয়া রফিকের ছেলে মো. আবিদ (৬) গায়ে জ্বর উঠলে হঠাত্ মারা যায়।
এদিকে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. নাজীম উদ্দীন বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী তার নমুনা নিয়ে গেছে এবং রিপোর্ট আসার পর তাকে দাফন করা হবে।
জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলীতে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। সাবিনা খাতুন (৪৪) নামের ঐ নারী তার পিতার বাড়ি যশোর বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রবিবার তিনি বাড়ি ফিরে সর্দি-জ্বর, হাঁচি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হন। বুধবার রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য মৃতদেহ হতে লালারস সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহটিলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগে ইন্তাজ আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শ্বাসকষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বৃদ্ধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ইন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুল মোহিত বলেন, তার বাবা করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। বার্ধক্য ও শ্বাসকষ্টের কারণে তিনি মারা গেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভুঁইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত নন। তার পরও তার দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোনার পূর্বধলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সর্দি-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ছিদ্দিক মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছিদ্দিক মিয়া উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের জারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত সাত-আট দিন যাবৎ ছিদ্দিক মিয়া সর্দি-জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আক্তার জানান, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবরে তিনি ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছিলেন, যে লোক মারা গেছে সে আসলে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যায়নি। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সূত্র : ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।