আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে করোনার ভয়াবহতা সীমা ছাড়িয়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের পথে হাঁটছে বহু দেশ। ভেঙ্গে পড়েছে অর্থনীতির অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে সৌদি আরব। তেল নির্ভর দেশটির রপ্তানিতে বিস্তর প্রভাব ফেলেছে কোভিড-১৯।
এই অবস্থায় বিশাল বিশাল কন্টেইনার জাহাজে পড়ে রয়েহে অপরিশোধিত তেল। অর্ডার বাতিল হওয়ায় বন্দরে বন্দরে আটকে রয়েছে তেলবাহী জাহাজগুলি।
ফলে আপাতত নতুন করে তেলের উৎপাদনও বন্ধ। একই সঙ্গে বন্ধ বিদেশী মুদ্রা আসার পথ। সব মিলিয়ে, করোনার হামলায় গেল গেল রব উঠেছে তেল নির্ভর সৌদি অর্থনীতিতে।
সংকটের প্রথম দিকে ব্যয় সংকোচ বাড়িয়ে, সরকারি খরচ কমিয়ে ও তেল উৎপাদন বন্ধ রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান।
তবে তাতেও মিটছে না সমস্যা। ফলে এবার রিয়েল এস্টেট বিক্রি করে সরকারি পরিকাঠামো বাঁচানোর চেষ্টা করছে ধনকুবের সৌদি রাজপরিবার।
বিগত প্রায় সাত দশকে এই প্রথম বড় আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হল সৌদি আরব। তেল নির্ভর অর্থনীতি এবং সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখাই বিগত দুই মাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে ফের তেলের বিপুল চাহিদা হবে, এমনটা মনে করার কোনও কারণ এখনই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে সৌদি অর্থিনীতর বিপদ শুরু হয় করোনা সংক্রমণের আগেই থেকেই। রাশিয়ার সঙ্গে তেল যুদ্ধে নেমে পড়ে রিয়াদ। যার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে নেমে যায় অপরিশোধিত তেলের দাম।
তার উপর, ভারত ও চিনের মতো বড় খদ্দেরও অর্থনীতি বন্ধ থাকায় সৌদি তেলের আমদানি আপাতত কমিয়ে দিয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলির অবস্থাও ভালো নেই। এই অবস্থায় গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছে সৌদি সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।