আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের হাত থেকে রেহাই নেই ভূস্বর্গেরও। দেশ জুড়ে লকডাউনের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে করোনা আক্রান্ত হয় মৃত্যু হল ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের। সম্প্রতি শ্রীনগরের চেস্ট ডিজিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। হায়দারপোড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই বৃদ্ধ। এদিকে জানা গেছে, তাঁর সংস্পর্শে আসা আরও ৪ জনের শরীরেও মিলেছে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ।
এই মৃত্যুর খবর জানিয়ে শ্রীনগরের মেয়র জুনেদ আজিম মট্টু টুইট করেন: “আমরা আমাদের এখানে প্রথম COVID-19 আক্রান্ত কারোর মৃত্যুর খবর দিচ্ছি। এই দুঃসংবাদ আমরা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। মৃতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা”। তিনি আরও বলেন, “চেস্ট ডিজিজ হাসপাতালের যে চিকিৎসকরা ওই রোগীকে বাঁচানোর জন্যে লড়াই করেছেন তাঁদের প্রচেষ্টার জন্যে আমি তাঁদের কুর্নিশ জানাই। আসুন আমরা এমন কিছু করি যাতে এই সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে যায় এবং এর জন্যেই আমরা ঘরবন্দি থাকি, নিজেকে ও সকলকে নিরাপদে থাকতে সহায়তা করি”।
বুধবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় শ্রীনগরের ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির। আরও চিন্তার কথা এই যে, ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা আরও ৪ ব্যক্তির শরীরেও করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। শুধু তাই নয়, ওই করোনা আক্রান্তকে চিকিৎসা করে ৭ জন চিকিৎসক সহ ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে প্রাথমিক সতর্কতা স্বরূপ কোয়ারান্টাইন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ১১ জন।বুধবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় শ্রীনগরের ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির। আরও চিন্তার কথা এই যে, ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা আরও ৪ ব্যক্তির শরীরেও করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। শুধু তাই নয়, ওই করোনা আক্রান্তকে চিকিৎসা করে ৭ জন চিকিৎসক সহ ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে প্রাথমিক সতর্কতা স্বরূপ কোয়ারান্টাইন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ১১ জন।
কাশ্মীর প্রশাসন যদিও ভূস্বর্গে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে। কেননা তারা মনে করছে যে বহু লোক নিজেদের বিদেশ সফরের ইতিহাস গোপন রেখেছে। এর ফলে এখনও পর্যন্ত যত জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, ভবিষ্যতে তার থেকে অনেক বেশি লোক সেখানে ওই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত মোট ৫,১২৪ জন পর্যটকের উপর নজরদারি করা হচ্ছে কাশ্মীরে। তার মধ্যে ৩,০৬১ জনকে হোম কোয়ারান্টিনে (সরকার পরিচালিত সুবিধা সহ) রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের কোয়ারান্টিনে রয়েছেন ৮০ জন এবং বাড়িতে নজরবন্দি ১,৪৭৭ জন।
এখনও পর্যন্ত ভারতে ৬০০ জনেরও বেশি লোক আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। সব মিলিয়ে করোনা ত্রাস এখন গোটা দেশ জুড়ে। এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে গোটা ভারতে লকডাউন করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই অবস্থা। সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।