জুমবাংলা ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ধ্বংসাত্মক থাবায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিশ্বের অর্থনীতি খাত। করোনার ধাক্কা অর্থনীতি যদি কোনদিন সামলে উঠেও, কিছু ব্যবসা আছে যা আর উঠিয়ে আনা সম্ভব হবেনা। গ্লোবাল ডিজাস্টার রিকভারি গ্রুপ (ডিআরআই) এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে।
সংকট পরবর্তী সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় সচল করতে সহযোগিতা করে থাকে গ্লোবাল ডিজাস্টার রিকভারি গ্রুপ।
সংস্থাটির মতে, করোনা পরবর্তী সময়ে যখন অর্থনীতির চাকা পুনরায় চালু হবে, তখন অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যই আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
করোনার মতো সংকটে তাদের টিকে থাকতে আবারও ফিরে যেতে হবে সেই নতুন উদ্যোক্তার পথে। কেননা ব্যবসা একবার বন্ধ হওয়া থেকে পুরনায় তা শুরু করা খুবই কঠিন বলে মনে করে সংস্থাটি।
ডিআরআই এর চিফ এক্সিকিউটিভ ক্লো ডেম্রোভস্কি বলেছেন, করোনা পরবর্তীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একেবারের নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে। যে পরিস্থিতি আগে ছিল- তার কিছুই থাকবে না। আমাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য পুরোপুরি বদলে যাবে।
ক্লো ডেম্রোভস্কি বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে করোনার লকডাউন পরবর্তী সময়ের সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি দেশ তথা সারা বিশ্বে যারা ব্যবসা-বাণিজ্যে সময়োপযোগী সৃজনশীলতা রাখে না, তাদের সবচেয়ে বেশি প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। তাদের করোনা পরবর্তী সময়ে নিশ্চিতভাবে দুরূহ পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। তবে যাদের ব্যবসায় বিচক্ষণতা ও ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থাপনা এবং চিন্তাধারা রয়েছে তাদের এসময় ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
ডিআরআই এর বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংকট মোকাবেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় কোম্পানিগুলোকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাজের সময় ও দায়িত্ব পালনে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে এবং সংকট পরবর্তী পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।