জুমবাংলা ডেস্ক : মহৎ এ উদ্যোগটি যিনি নিয়েছেন, তার নাম তুয়ান আন। একটি ইলেকট্রনিক কোম্পানির পরিচালক পদে কর্মরত ৩৫ বছরের এ যুবক।
নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। এতে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে সরকার ও সমাজের উচ্চবিত্তরা। তবে এসব খাদ্য বিতরণের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে, তেমনি সঠিক বণ্টনের ক্ষেত্রেও অনেক সময় তৈরি হচ্ছে বৈষম্য। নিজের দেশের এমন সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতে এটিএম (অটোমেটিক টেলার মেশিন) আবিষ্কার করেছেন ভিয়েতনামের যুবক তুয়ান আন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা ওঠানোর মতো যে মেশিন থেকে অসহায় মানুষ বিনা মূল্যে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন। আর এ মেশিনের নাম দেয়া হয়েছে রাইস এটিএম। এরই মধ্যে এ উদ্যোগ বেশ সাড়াও ফেলেছে দেশটিতে।
তুয়ান জানান, অফিসের গুদামে থাকা যন্ত্রপাতি দিয়েই এটিএমটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ৫০০ কেজি পর্যন্ত চাল রাখা যায়। আর ক্যামেরা, চাল সংগ্রহের জন্য বাটন ও প্লাস্টিকের পাইপ থাকবে। সামনে থেকে যে কেউ বাটনে চাপ দিলে দেড় কেজি চাল বের হয়ে আসবে। তবে কোনো ব্যক্তি দুবার নেয়ার সুযোগ পাবে না। কারণ মোবাইল অ্যাপ ও ক্যামেরা দিয়ে বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। আর এটিএমে চাল ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এটি সিগন্যাল দিয়ে জানিয়ে দেয়। প্রথমদিকে নিজের কোম্পানি থেকে বিনা মূল্যে চাল দেয়া শুরু হলেও এখন অনেকেই এ মহৎ উদ্যোগে তুয়ান আনের সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন।
সপ্তাহে সাতদিন ও দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এ বুথ থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন হতদরিদ্ররা। প্রতিটি ব্যক্তি দিনে মাত্র দেড় কেজি চাল সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মেশিন থেকে চাল সংগ্রহের আগে হাত স্যানিটাইজেশন করতে হবে।
কভিড-১৯-এর বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ভিয়েতনামজুড়ে ১৫ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে দেশটির সরকার। এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপদে। এসব হতদরিদ্রকে সহায়তার জন্যই রাজধানী হ্যানয়, হো চি মিন সিটি, হুয়ে, ডানাং শহরে এ রাইচ এটিএম বসানো হয়েছে, যেখান থেকে এখন চাল সংগ্রহ করতে পারছে তারা।
নাগুয়েন থাই লি ও তার স্বামী সরকার ঘোষিত এ কর্মসূচির ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন। তিন সন্তান নিয়ে রীতিমতো কষ্টে দিন কাটছিল তার। এরই মধ্যে ইন্টারনেটে রাইস এটিএমের কথা জানতে পারেন। পরে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে দেড় কেজি চাল সংগ্রহ করেছেন। ৩৪ বছর বয়সী এ নারী বলেন, রাইস এটিএমটি খুবই উপকারী। এখান থেকে পাওয়া এক ব্যাগ চাল দিয়ে একদিন চলে যাবে। এখন আমার অন্যান্য খাবার সংগ্রহ করতে হবে।
খবর : রয়টার্স ও ভিয়েতনাম টাইমস।
ভাষান্তর : বণিক বার্তা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।