জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সুচিকিত্সা হয় না, ডাক্তার থাকেন না, রোগী করোনায় মারা যায়—এমন ভয় দেখিয়ে রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল একটি চক্র। পরে তাদের নামসর্বস্ব বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিত্সার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৯ জনকে জেল-জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-২ এর পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, অভিযানে সেবিকা হাসপাতালের পরিচালক ও ওটি ইনচার্জ ভুয়া ডাক্তার সাইফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নিম্নমানের সেবা প্রদান এবং নিয়মিত ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালের মালিক সাখাওয়াত হোসেনকে ৪ লাখ টাকা ও ম্যানেজার মহিবুল্লাহকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া দালালচক্রের ছয় সদস্য—রেজাউল করিম, মানিক মিয়া, বিল্লাল হোসেন, কল্পনা আক্তার, মর্জিনা বেগম ও আজিরন বেগমকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জানা যায়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে আসা নিরীহ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধা সৃষ্টি করে এই দালালরা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছে তারা কৌশলে প্রচার করে হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না, রোগীর হাত-পা কেটে ফেলে, পঙ্গু হয়ে যায় এমন সব মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। তাছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হলে করোনায় রোগী মারা যায়। এমন বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে রোগীদের আশপাশের ক্লিনিকগুলোতে নিয়ে ভর্তি করায়। রোগীর বিনিময়ে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দালালরা নিয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।