আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার সুযোগে জেল থেকে পালানো কুর্দি বংশোদ্ভূত এক রাজনৈতিক নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। শনিবার ভোরে পশ্চিম ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের সাক্কেজ শহরের একটি কারাগারে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
এর আগে মানবাধিকারকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ইরান দু’জন রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফাঁসি হওয়া ব্যক্তির নাম মোস্তফা সালিমি (৫৩)। তবে অপরজনের ভাগ্যে কী ঘটেছে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
গত ২৭ মার্চ, সালিমি নভেল করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কারাগারে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে অন্য কয়েক হাজার বন্দীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সালিমির বিরুদ্ধে কারা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের নিরাপত্তা বাহিনী ২০০৩ সালে প্রথম সালিমিকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেসময় ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচারণের অভিযোগ তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল একটি আদালত। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ইরানে ইসলামী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ গুরুতর অপরাধ হিসাবে গন্য হয়। বিদ্রোহের সময় সালিমি কারাগার থেকে বেরিয়ে ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে পালিয়ে যান।
ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এর মতে, ইরানের চাপের মুখে ইরাকের কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার (কেআরজি) সালিমিকে তেহরানের হাতে হস্তান্তর করে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় সাক্কেজের একটিসহ ইরানের কমপক্ষে আটটি কারাগারে বন্দীদের মধ্যে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ইরানের মানবাধিকার সংস্থাগুলি বলছে যে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কারাগারের বিক্ষোভ চলাকালীন এ পর্যন্ত ৩৫ জন বন্দিকে হত্যা করেছে। সূত্র- রেডিও ফারদা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



