জুমবাংলা ডেস্ক: এক সপ্তাহ পর করোনাভাইরাসের মৃত্যুশূন্য আরেকটি দিন পার করেছে চট্টগ্রাম। এ দিন নতুন ৪৬ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৩ শতাংশ। আরোগ্যলাভ করেন ৬৩ জন।
করোনা সংক্রান্ত চট্টগ্রামের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর নয়টি ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের ২৭ ও সাত উপজেলার ১৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ৯, সীতাকু-ে ৩, মিরসরাই ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং বোয়ালখালী, আনোয়ারা ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৫৬২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৫৬৭ শহরের ও ২৭ হাজার ৯৯৫ জন গ্রামের।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগি মারা যাননি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৯ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭১১ ও গ্রামের ৫৭৮ জন। সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৬৩ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৫৬৮ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫১৫ এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৭৬ হাজার ৫৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১০৭ জন। ছাড়পত্র নেন ৫৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬০১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৬৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১০ ও গ্রামের ৫ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬৩ নমুনার মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের ৯টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনসহ ৫ জন আক্রান্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৪টি নমুনায় শহরের একটির পজিটিভ আসে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৬ নমুনায় শহরের একটি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫৫টি নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একটি করে, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৬ নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের ২টি করে এবং ল্যাব এইডে ৪ নমুনায় শহরের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষিত ৮টি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের ২টি নমুনার সবগুলোর ফল নেগেটিভ আসে।
এ দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব এবং নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়, বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ১৬ শতাংশ, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ৮১, চমেকে ৩ দশমিক ১৬, আরটিআরএলে ২৫, শেভরনে ০ দশমিক ৩৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ১৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩ দশমিক ৬৩, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ দশমিক ১৪, ল্যাব এইডে ২৫ এবং মেডিকেল সেন্টার ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।