জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন ৯৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর ১০ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৯৭ জনের মধ্যে শহরের ৫৯ জন এবং ৯ উপজেলার ৩৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ১৮, রাউজানে ৬, সাতকানিয়ায় ৫, সীতাকু-ে ৩, আনোয়ারায় ২ এবং সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৯৬২ জনে দাঁড়ালো। এর মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ১৮২ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৭৮০ জন।
চট্টগ্রামে গতকাল করোনায় শহরের একজন ও গ্রামের একজন মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৭৬ জন। এতে শহরের ৭০৪ ও গ্রামের ৫৭২ জন। আরোগ্যলাভ করেছেন ১ হাজার ১০ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা বেড়ে ৮২ হাজার ৮৪২ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ১০ হাজার ২৮৮ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭২ হাজার ৫৫৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১২৫ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৫১ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৪৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৪৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে শহরের ২১ ও গ্রামের ৮টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭২ জনের নমুনায় গ্রামের ৩ জনসহ ১২ জনের দেহে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬৩টি নমুনার মধ্যে শহরের ৮ ও গ্রামের ১৬টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৮ জনের মধ্যে শহরের একজনসহ ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। পাঁচ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজনেরও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ১০টি নমুনার ৯টির নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৬১টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিসহ ৬টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৯ নমুনার মধ্যে শহরের ৪টি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১টি নমুনায় শহরের ২ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৯টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টারে ১৭টি ও ল্যাব এইডে ২টি নমুনা পরীক্ষা করলে একটিও পজিটিভ শনাক্ত হয়নি। এদিন চট্টগ্রামের ৫টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ৯৭, সিভাসু’তে ১৪ দশমিক ৭২, চবি’তে ১২ দশমিক ৮২, আরটিআরএলে ১০ শতাংশ, শেভরনে ২ দশমিক ৩০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ৭৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ দশমিক ৮৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৯ দশমিক ৪৭ এবং এন্টিজেন টেস্ট, মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।