জুমবাংলা ডেস্ক: করোনায় চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত এক রোগি মৃত্যুবরণ করেন। তবে জেলার আওতাধীন ১৫ উপজেলার কোথাও নতুন জীবাণু বাহক শনাক্ত হয়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে করোনার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য পাওয়া যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৩৩৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৪২ জন শহরের ও ২৮ হাজার ২৯৫ জন গ্রামের। গতকাল করোনায় গ্রামের এক রোগি মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩৩০ জন। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ২৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন জীবাণু বাহকও পাওয়া যায়নি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৪৩ জনের নমুনার মধ্যে একজন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৪১টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে ভাইরাস মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটি পজিটিভ চিহ্নিত হয়। এই তিন ল্যাবে আক্রান্ত সকলেই শহরের।
এ দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭, নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫, এন্টিজেন টেস্টে ১৮ এবং বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৬০, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫২, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সাত ল্যাবে পরীক্ষিত ২৫৭ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো একমাত্র নমুনাটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।
এ দিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৪১ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৩৮ এবং চবি, আরটিআরএল, এন্টিজেন টেস্ট, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ । সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।