জুমবাংলা ডেস্ক: করোনায় চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৩৪৮ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। একই সময়ে আরোগ্যলাভ করেন ৬২২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও ১০ ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৫৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ৩৪৮ জন আক্রান্তের মধ্যে শহরের ২০২ ও ১২ উপজেলার ১৪৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে ৩৭, হাটহাজারীতে ৩৫, রাঙ্গুনিয়ায় ২৭, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৯ জন করে, ফটিকছড়িতে ৭, সীতাকু-, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ৫ জন করে, মিরসরাইয়ে ৪, আনোয়ারায় ২, এবং চন্দনাইশে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৬ হাজার ২০২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭০ হাজার ৪৮২ জন শহরের ও ২৫ হাজার ৭২০ জন গ্রামের।
গতকাল করোনায় শহরের ৪ ও গ্রামের ২ জন মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৫৬ জন। এতে শহরের ৬৬২ ও গ্রামের ৪৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬২২ জন। এতে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪৮০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ১৩৫ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৪ হাজার ৩৪৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৬৪ জন। ছাড়পত্র নেন ৩৬৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৯৪১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৭৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩০ ও গ্রামের ৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৭১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫১ ও গ্রামের ৯ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২৫ ও গ্রামের ৬২ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৬২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২২ ও গ্রামের ৩২টিতে করোনা জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১৩৯ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৮ ও গ্রামের ১২ জন নতুন সংক্রমিত বলে জানা যায়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৯টি নমুনার মধ্যে ৩টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ৩ জনই শহরের বাসিন্দা।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩১৫টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩টিসহ ৯টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬৮টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩টিসহ ১৯টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৩টি নমুনায় গ্রামের ৫টিসহ ১৪টি, মেডিকেল সেন্টারে ২০ নমুনায় শহরের ৪টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৯৩ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৮ ও গ্রামের ৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৮০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৬ জনের পজিটিভ ও অবশিষ্টদের নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ, চমেকে ১৬ দশমিক ১৭, চবিতে ২৫ দশমিক ৫৯, সিভাসু’তে ২০ দশমিক ৬১, এন্টিজেন টেস্টে ১৪ দশমিক ৩৯, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ২ দশমিক ৮৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১ দশমিক ৩১, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২ দশমিক ৫৬, মেডিকেল সেন্টারে ২০, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৩৮ দশমিক ৭১ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।