জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডাক্তাররাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। খবর বিবিসি বাংলার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রোগীদের সেবা-দানের সময়ে অনেকে ডাক্তার নিজেরাই আক্রান্ত হচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানাচ্ছে, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার রাতে তাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতেই তার নমুনার ফলাফল পজিটিভ হয় বলে জানা যায়।
সাভারের একজন সহকারী কমিশনার বার্তা সংস্থাকে জানান, গত ক’দিন ধরেই ঐ চিকিৎসকের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
ওদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় একজন চিকিৎসকসহ দুইজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে বলে ইউএনবি বলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়েছে, দু’জন আক্রান্তের মধ্যে একজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নারী চিকিৎসক।
গাজীপুর থেকে দৈনিক প্রথম আলোর এক খবরে বলা হয়েছে, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালের দু’জন চিকিৎসক এবং একজন রেডিওলজিস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তারা এখন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
এর আগে সিলেটএমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিনের একজন চিকিৎসক ডা: মোহাম্মদ মইন উদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার বলে কথিত নারায়ণগঞ্জেও স্বাস্থ্য কর্মীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জেলার ফোকাল পার্সন ও উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ জাহিদুল ইসলামসহ পাঁচজন ডাক্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
রকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআর-এর একজন উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানান, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় মূলত তিনটি কারণে চিকিৎসকেরা নিজেরাই সংক্রমিত হতে পারেন।
প্রথমত, যেসব ডাক্তার এবং নার্স ‘ফ্রন্ট লাইন’ সেবা দিচ্ছেন অর্থাৎ যারা সরাসরিভাবে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা করছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ সংক্রমিত হতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, জেল-উপজেলা পর্যায়ে যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন।
“অনেক সময় করোনাভাইরাস রোগীর দেহে সবগুলো উপসর্গ দেখা নাও যেতে পারে। তখন তাকে দেখতে গিয়ে ডাক্তাররা নিজেরাও ঝুঁকির মুখে পড়ে যান,” বলছেন তিনি।
“আর তৃতীয় কারণটি হচ্ছে সামাজিক সংক্রমণ,” ড. হোসেন জানান, “পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকেও এটা ছড়াতে পারে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।