আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। কিভাবে এই মারণ ভাইরাসকে রুখা যাবে সেটা এখনও অজানা। বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এখন সবার দৃষ্টি এর প্রতিষেধক এবং ওষুধের দিকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই সংক্রমণের কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়নি। তবে আশার কথা এটাই যে- যুক্তরাষ্ট্র, চীন, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, ইজরায়েল, পোল্যান্ডে এই মারণ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার উপায় আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের এক গবেষক করোনাভাইরাসে মৃত্যুর শঙ্কা কমানোর সহজ উপায়ের কথা বললেন।
সেই গবেষকের নাম লেভেন্ট ওজতুর্ক। তার দাবি, পর্যাপ্ত ঘুম করোনা থেকে বাঁচতে অত্যন্ত উপযোগী। তিনি জানান, পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ন্যাচারাল কিলার সেল বাড়িয়ে দেয়। এই কিলার সেল ভাইরাস ও ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তুরস্কের এডিরিন প্রদেশের টার্কিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবৃত্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত লেভেন্ট ওজতুর্ক বলেন, আইসোলেশনে থাকাকালে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে শরীরের ডেথ সেল বাড়িয়ে করোনাকে পরাস্ত করে দেওয়া সম্ভব।
ঘুমের ব্যাঘাত হলে শরীরের ন্যাচারাল কিলার সেলগুলো কমে যায়। এই কোষগুলি টিউমার এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভাইরাসকে প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধ করতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন বলে দাবি করেন ওই গবেষক।
তিনি বলেন, শরীরের ইমিউন সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করার মূল চাবিকাঠি হল স্বাস্থ্যকর ঘুম। ঘুম ভালো হলে শরীর প্রাকৃতিকভাবেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে একে পরাজিত করতে পারে।
ওজতুর্কের দাবি, এমনকি মাত্র এক রাতের পর্যাপ্ত ঘুমেও শরীরে প্রাকৃতিক ঘাতক লিম্ফোসাইটের সংখ্যা এবং ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পায় যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তার মতে, নতুন এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে কম লোকের সাথে যোগাযোগ করা এবং বেশি বেশি ঘুমানো।
করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে সেই অভ্যাসটিই করতে হবে। বাড়িতে এই অলস সময়ে আমরা ঘুমাতে পারি। তবে বাড়িতে থাকলে টিভি, কম্পিউটার এবং মোবাইলের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সামনে বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না। এগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
উল্লেখ্য তুরস্কে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে। আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৩৩ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।