আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২০৬ জনে। একই সময়ে আরও ৭০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেনও বেশ কয়েকজন।
করোনার সবচেয়ে সংক্রমিত রাজধানীর ১০ এলাকার নাম প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে রয়েছে রাজারবাগ, কাকরাইল, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, তেজগাঁও, মালিবাগ ও বাবুবাজার। আজ শুক্রবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
এমন পরিস্থিতিতেও করোনা সতর্কতা কিংবা নিয়ম মানার কোনও চিহ্ন নেই মানুষের মাঝে। এমন চিত্র রাজধানীর মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের। জেনেভা ক্যাম্পে করোনাভাইরাসে সনাক্ত হয়েছেন কমপক্ষে দুই ব্যক্তি। সন্দেহভাজন আরও কয়েকজন। ক্যাম্পের প্রবেশ মুখে লকডাউন নির্দেশনা থাকলেও পরিস্থিতি আমলেই নিচ্ছেন না কেউ।
ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি শ্বাসকষ্টসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৫ জন। তবুও নেই সচেতনতা। এছাড়া ত্রাণ সহায়তা কিংবা কোভিড ১৯ শনাক্ত ব্যক্তির হাসপাতালে চিকিৎসা নিশ্চিতে গড়িমসির অভিযোগও ক্যাম্পের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিদের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের কথা বলা হলেও সম্পূর্ণ উল্টো দিকে যাচ্ছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকার জন্য বিশেষ নজরদারি আর সাজাতে হবে আলাদা কর্ম পরিকল্পনা আর বাড়াতে হবে সচেতনতা। আইইডিসিআরও সতর্ক করে বলছে, ঘরে থাকার নির্দেশনার অমান্য করার প্রবণতা ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপর্যয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।